প্রায়ই মহাকাশে গ্রহাণুর সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। তেমনই একটি গ্রহাণু ‘১৬ সাইকি’। নামের আগে ১৬ থাকার কারণ, এর আগে আরও ১৫টি গ্রহাণুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তবে সেই সব গ্রহাণু থেকে ১৬ সাইকির গুরুত্ব অনেক বেশি। সাধারণত গ্রহাণু পাথুরে হলেও এই গ্রহাণুতে আছে সোনার খনি। আরও আছে প্রচুর লোহা, নিকেল ও অন্যান্য উপাদান।
কী পরিমাণ উপাদান আছে গ্রহাণুটিতে? শুনলে তোমার চোখ কপালে উঠে যাবে। সম্পূর্ণ গ্রহাণুটিতে যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তা পৃথিবীর সবাইকে সমান ভাগে ভাগ করে দিলে প্রত্যেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিক হবে। টাকার অঙ্কে কত হবে হিসাব করে দেখো।
এই গ্রহাণুতেই অভিযান চালাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ বছরের ৫ অক্টোবর নভোযানটির যাত্রা শুরু করার কথা। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নাসা। গ্রহাণুটির কাছে পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হবে প্রায় চার কোটি কিলোমিটার। গ্রহাণুটি এ মূহূর্তে আছে পৃথিবী ও মঙ্গলের মাঝামাঝি। নাসার নভোযান ওই অঞ্চলে প্রবেশের পর ২৬ মাস গ্রহাণুটিকে প্রদক্ষিণ করবে। আর গ্রহাণুটির কাছে পৌঁছাবে ২০২৯ সালে।
গ্রহাণুটিকে তো সরাসরি বগলদাবা করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। পৃথিবী থেকে বিজ্ঞানীরা গিয়ে একটু একটু করে নিয়ে আসতে পারবেন এ সম্পদ। এ জন্য প্রথমে চন্দ্রপৃষ্ঠে নেওয়া যেতে পারে ১৬ সাইকিকে। সেখান থেকে আনা হবে পৃথিবীতে।
১৮৫২ সালে ইতালীয় জ্যোতির্বিদ অ্যানিবেল দ্য গ্যাসপারিজ প্রথম এই গ্রহাণুর সন্ধান পান। ২০২০ সালে আবার গ্রহাণুটির সন্ধান পায় নাসা। গ্রহাণুটি প্রায় ২২৫ কিলোমিটার লম্বা। প্রতি পাঁচ বছরে এটি সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ মিশনের বাজেট প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।