দিন দিন আরও ছোট হচ্ছে ডিজিটাল ক্যামেরার আকার। মূলত সহজে বহন করার জন্যই এ ব্যবস্থা। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এসএলএসি ন্যাশন্যাল এক্সিলারেটর ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্যামেরা। ১.৬৫ মিটার লম্বা এই ক্যামেরা একটি গাড়ির চেয়েও উঁচু। ওজন প্রায় ৩ টন। এই ক্যামেরার সাহায্যে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূর থেকে একটি ক্রিকেট বলের ছবি তোলা যাবে। এ ছাড়া দৃশ্যমান বস্তুর চেয়ে ১০ কোটি গুণ অনুজ্জ্বল ছবিও তুলতে পারবে এই ক্যামেরা। আগামী ১০ বছরে বিজ্ঞানীরা প্রায় ২ হাজার কোটি গ্যালাক্সি গবেষণা করতে পারবেন এই ক্যামেরার সাহায্যে। ক্যামেরাটির একটি নামও দেওয়া হয়েছে। লিগ্যাসি সার্ভে অব স্পেস অ্যান্ড টাইম (এলএসএসটি)। এলএসএসটি তৈরি করতে সাত বছরের বেশি সময় লেগেছে। এর সাহায্যে ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেলের ছবি তোলা যায়, যা আইফোন ১৩–এর ক্যামেরার চেয়ে ৬৭ গুণ বেশি স্পষ্ট। ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্যামেরার ছবিগুলোও হয় দুর্দান্ত স্পষ্ট। ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো এত বড় হবে যে পূর্ণাঙ্গ ছবি প্রকাশ করতে মোটামুটি ৩৭৮টি অত্যাধুনিক টিভি স্ক্রিন লাগবে। এর লেন্সটিও বিশাল। ১.৫৭ মিটারের লেন্সটি প্রায় একটি দুই আসনের সোফার সমান। ইতিমধ্যে লেন্সটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং উঁচু ক্যামেরার লেন্স হিসেবে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে। এই সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত এলএসএসটি ক্যামেরা এখন পর্যন্ত নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যামেরা। এলএসএসটি ক্যামেরার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মহাশূন্যের এমন অজানা অধ্যায় গবেষণা করতে পারবেন, যা আগে কখনো সম্ভব হয়নি। বিশাল এই ক্যামেরা রাখা হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের চিলির আন্দিজ পর্বতমালার একটি মানমন্দিরে।