মহাকাশে যাচ্ছে স্নুপি ও শন

স্নুপি ও শন কোনো মানুষের নাম নয়। মূলত স্নুপি ও শন হলো একটি কুকুর ও ভেড়ার পুতুল। আর্টেমিস মিশনে এ দুই পুতুল ঘুরে আসবে চাঁদের কক্ষপথ। স্নুপি হলো চার্লিস এম স্কুলজ কমিকের একটি চরিত্র। পিনাটস কমিকে ১৯৫০ সালে প্রথম এই চরিত্রের আবির্ভাব হয়। অন্যদিকে শন হলো শন দ্য শিপ নামে একটি টেলিভিশন সিরিজের মূল চরিত্র। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রতিনিধি হিসেবে মহাকাশে যাবে শন। কিন্তু কেন মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে পুতুল দুটি? আর্টেমিস-১ মিশনে থাকছেন না কোনো নভোচারী। মানুষের বিকল্প হিসেবে মহাকাশে পাঠানো হবে তিনটি ম্যানকুইন বা ডল পুতুল এবং স্নুপি ও শনকে। কী কাজ পুতুলগুলোর?

২০২৫ সালে আর্টেমিস-৩ মিশনে চাঁদে আবার মানুষ পাঠাবে নাসা। সেই মিশন সফল করতে কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে, সেটা বুঝতেই এই পুতুলগুলো পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে। নভোযানে কতটা তাপ সৃষ্টি হতে পারে বা মহাকাশের বিকিরণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে কি না, সেটাও পরীক্ষা করে দেখবে পুতুলগুলো। স্নুপিকে পরানো হবে একটি কমলা রঙের স্পেসস্যুট। হাতে গ্লাভস ও পায়ে থাকবে বুট। শনের পরনেও থাকবে নভোচারীদের মতো স্পেসস্যুট।