বিটিএস সদস্যরা যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে, ব্যান্ডের এখন কী হবে?
‘বসন্ত আসার জন্য আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে আমাদের?’ সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের ‘স্প্রিং ডে’ গানের শুরুটা ছিল ঠিক এমনই। তবে আরও বছর ছয়েক আগে মুক্তি পাওয়া এই গানের সঙ্গে এবার যেন মিলে গেল বাস্তব চিত্র। বলছি বিটিএসভক্ত আর্মিদের কথা। এবার হয়তো বিটিএস সদস্যদের আবার দেখা পেতে সত্যিই একটি বড় সময় অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের।
গত মঙ্গলবার বিটিএসের কনিষ্ঠ দুই সদস্য জিমিন ও জাংকুক যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক প্রশিক্ষণে। এর মধ্য দিয়ে ব্যান্ডটির সব সদস্যই যোগ দিলেন সেনাবাহিনীতে। এ দুজনের আগে সোমবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন আরও দুই সদস্য আরএম ও ভি। বিটিএসের সিনিয়র তিন সদস্য জিন, জেহোপ আর সুগা তো আগে থেকেই সামরিক বাহিনীতে দায়িত্বরত আছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম বাধ্যতামূলক এই প্রশিক্ষণে যোগদান করেন দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য জিন। এরপর একে একে জেহোপ আর সুগাও নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেন। শেষে বাকি চার সদস্যের যোগদানের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীতে বিটিএস সদস্যদের নতুন অভিজ্ঞতার সূচনা হয়।
১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী সামর্থ্যবান সব দক্ষিণ কোরীয় তরুণকে প্রায় দুই বছরের জন্য সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সে হিসেবে বলা যায়, বিটিএসকে আবার পুরোদমে ফিরতে দেখা যাবে ২০২৫ সালে! ব্যান্ডের এজেন্সিও ঠিক তেমনটাই জানিয়েছে।
তার মানে বোঝাই যাচ্ছে যে আপাতত আর সংগীতের দুনিয়া মাতাচ্ছে না বহুল জনপ্রিয় এই সাত তারকার ব্যান্ড। তবে যাওয়ার আগে বেশ কিছু গান মুক্তি দিয়ে গেছেন ‘বাংতান বয়েজ’ নামক খ্যাত এই সুপার গ্রুপের সদস্যরা।
ব্যান্ডের স্বত্বাধিকারী হাইবের পক্ষ থেকে সামরিক প্রশিক্ষণশিবিরে ভক্তদের ভিড়ের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, শেষ সময়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় করেন প্রিয় তারকাদের দেখা পেতে। তাঁদের সঙ্গে ছিল ফুল, হাতে ছিল শুভকামনা জানিয়ে ব্যানার। শুধু কি তা–ই? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বয়ে যাচ্ছে প্রিয় তারকাদের উৎসর্গ করে লেখা বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও পোস্টের বন্যা।
প্রিয় তারকাদের ছাড়া সামনের দিনগুলো খুব একটা সহজ হবে না বিটিএসভক্ত আর্মিদের জন্য। কিন্তু তাই বলে হতাশ হয়ে পড়লে চলবে না। যাওয়ার আগে সে কথাই বলে গেছেন বিটিএস সদস্যরা। বেশ কিছু লাইভ সেশনে এসে তাঁরা সবার কাছ থেকে বিদায় নেন এবং বলেন, আর্মিরা যেন তাঁদের মনে রাখেন। শিগগিরই তাঁরা আবার ফিরে আসবেন ভক্তদের কাছে। আর সে পর্যন্ত আর্মিরা যেন অপেক্ষা করেন তাঁদের প্রিয় বাংতান বয়েজের জন্য।