শীতকালের কথা নিশ্চয়ই তোমার মনে আছে। সবার কি শীত একই পরিমাণ লাগে? ছোট–বড় সবার গরম অনুভূতি আলাদা। দেহের আকৃতির জন্য মানুষের ঠান্ডার অনুভূতি কমবেশি হতে পারে। শরীরপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল যত বড়, ঠান্ডায় শরীর তত বেশি তাপ হারায়। ত্বকের নিচে চর্বি বেশি থাকলে কম তাপ ছাড়ে শরীর। নারী ও পুরুষের ঠান্ডার অনুভূতি শরীরের আকৃতির কারণে আলাদা হতে পারে। ধরা যাক, নারী ও পুরুষের শরীরে একই পরিমাণ চর্বি আছে। শরীরের আকৃতিও সমান। সে ক্ষেত্রে নারীর ওজন কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, নারীর তুলনায় পুরুষের বডি ফ্যাট বা চর্বি ও হাড়ের ঘনত্ব বেশি থাকে। ফলে নারী দ্রুত তাপ হারায়। শীতও লাগে বেশি। ছোটরা ঠান্ডায় কাঁপতে শুরু করে। সে তুলনায় তাপমাত্রা কম না হওয়া পর্যন্ত কাঁপতে শুরু করেন না বয়স্ক ব্যক্তিরা। মানে তাপ হারানো বা উষ্ণ হতে বয়স্কদের সময় লাগে। ছোটরা দ্রুত তাপ হারায়। গরমের বিষয়টিও তেমনই। শুধু শীতের বিপরীতে গরমকে ভাবলেই বুঝতে পারবে, সবার সমান গরম লাগে না। ছোটদের বেশি লাগে।
প্রচণ্ড গরমে শিশুদের যত গরম লাগবে, বড় একজনের ততটা লাগবে না। আবার রোদে কাজ করা লোকের ওপর যতটা প্রভাব পড়বে, ছায়ায় বসে আরাম করা ব্যক্তির ততটা লাগবে না। এসিতে বসে আছে, পর্যাপ্ত পানি ও স্যালাইন খাচ্ছে, তার যতটা সুবিধা হবে, গরমে সুরক্ষার নিয়ম অনুসরণ না করলে ততটা ভুগতে হবে যে রোদে আছে।