প্লাস্টিক থেকে ইট বানান কেনিয়ার এই প্রকৌশলী
প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে যদি টেকসই কোনো কিছু বানানো যায়, তাহলে কেমন হয়?
কেনিয়ার নাইরোবির বাসিন্দা জামবি মাটে ঠিক এ কাজই করেছিলেন। নাইরোবির রাস্তার দুই পাশে প্লাস্টিক বর্জ্যের আধিক্য দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, এগুলো দিয়ে কিছু করা যায় কি না। যেমন চিন্তা তেমন কাজ। একটি তেল কোম্পানির প্রকৌশলী ও উপাত্ত বিশ্লেষক বা ডেটা অ্যানালিস্ট ছিলেন তিনি। সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের মায়ের বাড়ির পাশের একটি ছোট গবেষণাগার বানান জামবি, যেখানে তিনি মূলত পরীক্ষা করছিলেন পরিবেশের দূষণকারী প্লাস্টিক ও বালির সমন্বয়ে ইট তৈরির উপায় নিয়ে। সফলতা পেতে খুব একটা সময় লাগেনি তাঁর। ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর গবেষণাগারে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগও লাভ করেন দ্রুতই। সেখানে তিনি বিশেষ এ পদ্ধতির ইট তৈরির যন্ত্রের উন্নতিসাধন করেন।
প্লাস্টিক ও বালির তৈরি এসব ইটের গলনাঙ্ক প্রায় ৩৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এগুলো কংক্রিটের তুলনায় বেশ টেকসইও। জামবি ও তাঁর সহকর্মীরা এসব কাঁচামাল সংগ্রহ করে থাকেন বিভিন্ন কারখানা ও পুনরুৎপাদনকারীর কাছ থেকে। মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব কাঁচামাল বিনা মূল্যেও পেয়ে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত এসব ইটের বিক্রয়মূল্য খুব কম। এসব ইট মূলত বিভিন্ন স্কুল ও বাড়ির মালিকেরা কিনে থাকেন।
জামবি মাটের প্রতিষ্ঠান জেঞ্জ মেকার্স এখন প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ ইট তৈরি করতে পারে।
দারুণ এ কাজের জন্য জামবি ২০২০ সালে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কার্যক্রমের (ইউএনইপি) কাছ থেকে ‘ইয়াং চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ আফ্রিকা ২০২০’ নামের বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন।