আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ৬ পদক

আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদকজয়ী বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড দল

আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে (আইজেসও) বাংলাদেশের সবাই পদক পেয়েছে। ৬ শিক্ষার্থীর ৩ জন রৌপ্যপদক ও ৩ জন ব্রোঞ্জপদক জয় করেছে। এবার থ্যাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের ২০তম আসর। ৯ ডিসেম্বর এ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ব্যাংককের এক হোটেলে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

খুদে বিজ্ঞানীদের এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ দল। রৌপ্যপদক জয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো রাজশাহীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফায়েজ আহমেদ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিরাজুস সালেকিন সামীন ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনামী জামান। আর ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসলিমা তাসনিম লামিয়া, নটর ডেম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভাশীষ হালদার ও ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিল ইসলাম।

৫৫টি দেশের ১৬ বছরের কম বয়সী বিশ্বের ৩১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে এ অর্জন বাংলাদেশের এক বড় সাফল্য। এই দলের সঙ্গে ছিলেন দলনেতা হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্যবিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। সহকারী দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির একাডেমিক সমন্বয়ক আবিদুর রহমান এবং আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ।

দলনেতা ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী বলেন, ‘আমাদের ফলাফল অসাধারণ হয়েছে এই বছর। পরীক্ষামূলক কাজে আমাদের আরও অগ্রগতি প্রয়োজন। আমাদের ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন।’

রৌপ্যপদকজয়ী মনামী জামান বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড ২০২৩-এ রৌপ্যপদক অর্জন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের গত কয়েক মাসের পরিশ্রমের ফসল এটি।’

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জন্য দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৯ বার আইজেএসওতে অংশগ্রহণ করে মোট ১৫টি রৌপ্যপদক, ২৪টি ব্রোঞ্জপদকসহ ৩৯টি পদক পেয়েছে।

এর আগে নবম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে এই ছয় শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। নবম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি), বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। আয়োজনটির টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। সহযোগী হিসেবে ছিল প্রথম আলো ও ম্যাসল্যাব। স্থানীয় আয়োজক হিসেবে যুক্ত ছিল ম্যাসন বিজ্ঞান ক্লাব অব্যয় ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির খুলনা জেলা ইউনিট। আর ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল ‘বিজ্ঞানচিন্তা’ ও ‘কিশোর আলো’।