কয়েক মাস আগেই সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে অবতরণ করে ভারত। চন্দ্রযান-৩ নামের নভোযানে করে এই সাফল্য অর্জন করে দেশটি। এই নভোযানের ভেতরে ছিল একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার। ল্যান্ডারটির নাম বিক্রম ও রোভারের নাম প্রজ্ঞান। মূলত ল্যান্ডার বিক্রম নামে চাঁদের মাটিতে। তারপর ল্যান্ডারের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। এটি আসলে একটি রোবোটিক গাড়ি, যা চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। হাজার হাজার ছবি তুলে পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকে। সেই রোভার ও বিক্রম এখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নিশ্চল অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলোর আর জেগে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই। চিরতরে অকেজো হয়ে গেছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান।
কেন অকেজো হয়ে গেল? কারণ, চাঁদেও পৃথিবীর মতো দিন-রাত হয়। পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান চাঁদের এক দিন। ইসরো এই নভোযানকে এমন সময়ে পাঠিয়েছিল, যাতে চাঁদে তখন দিন থাকে। রোভার প্রজ্ঞান ও ল্যান্ডার বিক্রম সচল থাকে সূর্যালোকের সাহায্য নিয়ে। পৃথিবীর ১৪ দিন পর শেষ হয় চাঁদের দিন। রাত নামলে চাঁদের তাপমাত্রা কমে মাইনাস ২০০ থেকে মাইনাস ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এই তাপমাত্রায় রোভার ও ল্যান্ডারের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে যন্ত্র দুটি।