দ্য কমেডি ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডের মজার কিছু ছবি

হাসতে নাকি জানে না কেউ

কে বলেছে ভাই?

এই শোনো না কত হাসির

খবর বলে যাই।

রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের এই ছড়ার মতো করেই কথা বলে কমেডি ওয়াইল্ডলাইফ অ্যাওয়ার্ডের নির্বাচিত ছবিগুলো। কয়েক দিন আগে ২০২৩ সালের এই ছবি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফটোগ্রাফাররা বন্য প্রাণীগুলোর নানা মজার ভঙ্গিমার ছবি তুলে জমা দিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে কমেডি ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে পুরস্কারজয়ী চারটি ও বিজয়ী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ফিরে আসা ‘হাইলি কমেন্ডেড উইনার’ থেকে বাছাই করা ছয়টি ছবি কিশোর আলোর পাঠকদের জন্য এখানে প্রকাশ করা হলো।

হাইলি কমেন্ডেড বিজয়ী

১ / ১১

দ্য হ্যাপি টার্টল

ফড়িং এসে পড়েছে জলাভূমির এক কচ্ছপের নাকে, তাতেই ফুটে উঠেছে বিস্ময় আর হাসিখুশি অভিব্যক্তি! ছবি: জাহি ফিঙ্কেলস্টাইন

২ / ১১

দ্যাট ওয়াজ নট হিয়ার ইয়েস্টারডে

সাদা পাখনার কবুতর উড়তে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছে চোয়ে ক্যাকটাসের মৃত কাণ্ডের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার মরুপ্রান্তর থেকে এই ছবিটি তুলেছেন ওয়েনডি ক্যাভেনি

৩ / ১১

রেইনফরেস্ট ড্যান্ডি

ইন্দোনেশিয়ার বালি প্রদেশের উবুদ এলাকার বানরের জঙ্গল থেকে তোলা হয়েছে ছবিটি। পুরোটা জায়গায় লম্বা লেজের ম্যাকাক বানরের রাজত্ব। রাজার ভঙ্গিতেই আধশোয়া এই বানরকে ক্যামেরায় বন্দী করেছেন ডেলফাইন ক্যাসিমির।

৪ / ১১

স্নোবল

টার্কি মুরগির মতো দেখতে একধরনের পাখি গ্রাউস। উত্তর গোলার্ধের সাব-আর্কটিক অঞ্চলে এদের বাস। শীত মৌসুমে আগাগোড়া বরফে ঢেকে যেন পুরোদস্তুর স্নোবলে পরিণত হয়েছে। নরওয়ের স্পিটসবার্গেন থেকে মজার এ ছবিটি তুলেছেন জ্যাকস পোলার্ড।

৫ / ১১

বুয়িং

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বনাঞ্চল ওয়েস্টারফোল্ডস পার্ককে ক্যাঙারুর অভয়ারাণ্য বলা যায়। ক্যাঙারুর একটি দল সকালের মিষ্টি রোদে চরে বেড়াচ্ছিল। সে সময় হয়তো এই ক্যাঙারুশাবকের ইচ্ছা করছিল, বক্সিং প্র্যাকটিসটা সেরে নিতে। বোকা বোকা চেহারা নিয়েই সে ধরা পড়েছে লারা ম্যাথিউসের ক্যামেরায়।

৬ / ১১

মানডে ব্লাহস

দ্য গ্রেট গ্রে আউল বা ধূসর প্যাঁচা বিকেলের বেশির ভাগ সময়জুড়ে স্বাভাবিক জ্ঞানী, গুরুগম্ভীর ভঙ্গিতেই ছিল। কিন্তু কতক্ষণই–বা ওভাবে থাকা যায়! ছুটি শেষে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে কাজের পর মানুষ যেমন নেতিয়ে পড়ে, তেমনি অবস্থা হয়েছে প্যাঁচাটির। ভাবখানা এমন যেন, কাজকর্ম কী শেষ হলো অবশেষে? মজার এই ছবি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ড টেটন ন্যাশনাল পার্ক থেকে তুলেছেন জন ব্লুমেনক্যাম্প।

অ্যামেজিং ইন্টারনেট পোর্টফোলিও অ্যাওয়ার্ড

৭ / ১১

আই ফাইনালি লার্নড টু ফ্লাই অর - অর মেবি নট

হয়তো উড়তে পারবে, এমনটা ভেবেই ওভাবে লাফ দিয়েছিল কাঠবিড়ালিটা। কিন্তু ডানা যে নেই, সেটা মনে পড়েছে মাটিতে পড়ার আগমুহূর্তে! এমন মজার ছবিগুলো তুলেছেন তিমেয়া অ্যাম্ব্রুজ।

জুনিয়র ক্যাটাগরি ও দর্শকের পছন্দের বিজয়ী

৮ / ১১

ডিসপিউট

গ্রিনফিঞ্চ নামের এই ছোট্ট পাখি যেন কারও নামে অভিযোগ করছে বা ঝগড়া করছে মা-বাবার সঙ্গে। পোল্যান্ডের বিয়ালোয়িজা বন থেকে মজার এই ছবি তুলেছেন ইয়াচেক স্ট্যানকিয়েভিচ।

খেচর প্রাণী ক্যাটাগরিতে বিজয়ী

৯ / ১১

আনএক্সপেক্টেড প্লাঞ্জ

দক্ষিণ আফ্রিকার জিমাঙ্গা প্রাইভেট গেম রিজার্ভে এ ছবি তোলা হয়েছে। একটি স্ট্রেইটেড হেরন পাখি মাছ ধরার চেষ্টা করতে গিয়ে অস্বাভাবিকভাবে ডুব দিয়েছে পানিতে। নিখুঁত এই মুহূর্তের ছবি তুলেছেন ভিত্তোরিও রিকি।

জলচর প্রাণী ক্যাটাগরিতে বিজয়ী

১০ / ১১

অটার ব্যালেরিনা

আরাবেস্ক পজিশনে চমৎকারভাবে নাচছে যেন এক অটার ব্যালেরিনা! দেখলে তো ওমনই মনে হয়। কিন্তু বাস্তবের ঘটনা ভিন্ন। গাছের পাতা ধরার জন্য লাফ দিচ্ছিল এই জলচর প্রাণী। লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ার সময় এভাবে এক পায়ে দাঁড়িয়ে গেছে। হয়েছে চমৎকার ব্যালে নৃত্যের আরাবেস্ক পোজ। দারুণ এই ছবি তুলেছেন সিঙ্গাপুরিয়ান ফটোগ্রাফার অটার কোয়েক।

সব ক্যাটাগরির মধ্যে সেরা ছবি

১১ / ১১

এয়ার গিটার রু

অস্ট্রেলিয়ান ফটোগ্রাফার জেসন মুর চমৎকার ও মজার এই ছবি তুলেছেন। নিজের ছবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি ওয়েস্টার্ন গ্রে ক্যাঙারুদের একটি ভিড়ের পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। জায়গাটা ছিল হলুদ ফুলে ভরা একটি খোলা মাঠ। সঙ্গে আমার ক্যামেরা ছিল, তাই কয়েকটি ছবি তুলতে থাকলাম। আমি হঠাৎ লক্ষ করলাম, একটা ক্যাঙারু খুবই মজার অঙ্গভঙ্গি করছে। আমার কাছে মনে হলো, ও বুঝি বাতাসের মধ্যেই গিটার প্র্যাকটিস শুরু করেছে!’