মানুষের জিনে লুকিয়ে আছে সাপের ভয়, বলছে গবেষণা
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে এক বিশেষ প্রাণী কে মানুষ আগে দেখতে পায়। ধরো, কোনো জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে পাখি, বিড়াল, কুকুর আর সাপ। তোমার মত কোনটি? মানুষ সাধারণত কোন প্রাণী কে আগে দেখতে পাবে? অনুমান করতে পারো? কোন প্রাণীর ছবি তোমার চোখে আগে ধরা পড়বে?
নিচের ছবিগুলোতে লুকিয়ে থাকা প্রাণীকে কি তুমি দেখতে পারো?
নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ পাখি, বিড়াল এবং কুকুরের তুলনায় সাপের অস্পষ্ট ছবি সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রাণীর ক্রমহ্রাসমান অস্পষ্ট কতগুলো ছবি দেখানো হয়েছিল। প্রতিটি ধাপে একটি প্রাণীকে চারটি ছবির একটি থেকে চিহ্নিত করতে হবে।
অংশগ্রহণকারীরা সপ্তম ধাপে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে সাপ সনাক্ত করতে পেরেছে। ধাপ ৯ বা ১০-এ সঠিকভাবে অন্যান্য প্রাণী সনাক্ত করতে পারেনি। প্রথমে স্পষ্ট ছবি ছিল। ১০ ধাপে ছবিগুলো ক্রমেই অস্পষ্ট হয়েছে। এভাবেই যাচাই করা হয়েছে, সাপকে কি মানুষ বেশি সনাক্ত করতে পারে? উত্তর হ্যাঁ। দ্রুত সনাক্ত করার স্মৃতি লুকিয়ে আছে মানুষের জিনে।
ফলাফলগুলো সাপ সনাক্তকরণ তত্ত্বকে সমর্থন করে। তত্ত্ব অনুযায়ী, আদিম মানুষ প্রথম আক্রান্ত হয়েছিল সাপের ছোবলে। এবং ইতিহাসে কখনই সাপের ছোবল থেকে মানুষ নিরাপদ ছিল না। ফলে মানুষের জিনে সাপ সনাক্ত করার জন্য শক্তিশালী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। মানুষের দৃষ্টিশক্তি বিশেষ এই প্রাণীর প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়েছে।
মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ কোনোকিছু দেখার জন্য কাজ করে, সেখানে আমরা সাপ খুব দ্রুত দেখতে পাই। অন্য প্রাণীর তুলনায় সাপ দেখতে কম সময় লাগে। এই তত্ত্বকে সমর্থনকারী অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা সাপের ছবিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায়। প্রাইমেট তথা বানরজাতীয় প্রাণীরাও সাপ দ্রুত সনাক্ত করতে পারে।
উপরের ছবিগুলো যথাক্রমে পাখি, সাপ, বিড়াল এবং মাছের। তুমি কোন প্রাণী সর্বপ্রথম দেখতে পেয়েছে?