প্রকাশিত হয়েছে কিশোর আলোর ভূত সংখ্যা, কী আছে এ সংখ্যায়
কিশোর আলোর জুলাই সংখ্যা এখন বাজারে। ৫ জুলাই প্রকাশিত আষাঢ়-শ্রাবণ সংখ্যার শিরোনাম ‘ভয় নয়’। এতে রয়েছে ৯টি ভৌতিক গল্প। প্রচ্ছদ করেছেন জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট সাদাত। মূল রচনায় ভূতের ভয়ের ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা কি ভূতের ভয় পায়? ভয় নিয়ে এই লেখায় যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনি আলোচনা হয়েছে ভয় না পাওয়া নিয়েও। এখনকার কিশোরেরা ভূত নিয়ে কী ভাবে, তোমার ভাবনার সঙ্গে মিল আছে কি না, মিলিয়ে নিতে পারো।
ভূত নিয়েও একটি ছড়াও আছে এবারের সংখ্যায়। আছে আষাঢ় মাস নিয়ে একটি ছড়া।
ভূত সংখ্যার মূল আকর্ষণ গা ছমছমে ভূতের গল্প। প্রথম ভৌতিক গল্পটি লিখেছেন জনপ্রিয় লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। ভূতের গল্প শুধু ভয়ের হয় না, মজারও হয়। এই গল্পে তার প্রমাণ পাবে। ভূতের একটি গল্প লিখেছেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক। এই গল্প তোমার ভূত নিয়ে কৌতূহল বাড়িয়ে দেবে। তোমার মনে হবে, আমাদের চারপাশেই কি ভূত লুকিয়ে আছে?
এ ছাড়া আছে আহমেদ রিয়াজ, আরমান কবির, নাবিল মুহতাসিম, অর্ণব কবির, রাফাত শামস, লুৎফুল কায়সার ও তানভীর আহমেদ সৃজনের ভৌতিক গল্প।
এ তো গেল গল্পের কথা। নিয়মিত বিভাগগুলোর মধ্যে আছে ধারাবাহিক উপন্যাস দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মের মুরগি। দেখতে দেখতে ১৮তম পর্ব ছাপা হয়ে গেল। তোমাদের কী ধারণা, আর কয় পর্ব চলতে পারে তোমাদের পছন্দের এই উপন্যাস?
সাপ নিয়ে সারা দেশে চলছে ধুন্ধুমার–কাণ্ড। চন্দ্রবোড়া নামের সাপ, যাকে সবাই ‘রাসেলস ভাইপার’ নামে চেনে। এই সাপ নাকি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কতটা মিথ আর কতটা সত্যি, তা নিয়ে আছে আলোচনা। এ সাপ কামড়ালে কী করা উচিত বা কী করা ঠিক হবে না, লিখেছেন গবেষক ও উন্নয়নকর্মী গওহার নঈম ওয়ারা।
এ সংখ্যায় ফিরেছে অ্যানিমে-কথন। অ্যানিমে-কথনের নিয়মিত লেখক প্রান্ত ঘোষ দস্তিদার লিখেছেন দুর্ধর্ষ গুপ্তচরের দলের গল্প। শিরোনামেই বুঝতে পারছ, কী আছে এ লেখায়। মিশন: ইয়োজাকুরা ফ্যামিলি, এই অ্যানিমেটি সদ্য মুক্তি পেয়েছে। গুপ্তচর পরিবারের গল্প। অ্যানিমের বিস্তারিত থাকছে এই লেখায়।
আছে অর্জনের গল্প। বাংলাদেশের ছেলে সাগর ইসলাম প্যারিস অলিম্পিকের সরাসরি টিকিট পেয়েছেন। ছেলেবেলায় চায়ের দোকানে কাজ করতেন! স্বপ্ন ছিল কিছু একটা করবেন। মায়ের পরিশ্রমের হাত ধরে সে সাফল্য এসেছে। বিকেএসপির এই ছাত্রের ভবিষ্যতের জন্য মা নিজের রক্ত বেচতেও প্রস্তুত ছিলেন!
ফুটবল নিয়ে এ সংখ্যায় আছে একটি বিশেষ প্রতিবেদন। আরামবাগের কালা ভাই একজন কোচ। নিজের আসল নাম যাঁর ডাকনামে ঢাকা পড়ে গেছে, সেই কোচের গল্প তুলে এনেছেন নাইর ইকবাল। বাংলাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছেন, এমন ২৪ থেকে ২৫ জন সরাসরি তাঁর ছাত্র। এই লেখা পড়ে তুমি এই কোচ সম্পর্কে জানতে পারবে। আর টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ যে ভারতের দখলে গেছে এবার, এ তো পুরোনো খবর। তার একটু বিশ্লেষণ আছে এ সংখ্যায়। তোমার জানাশোনাকে আরেকটু বাড়িয়ে তুলবে এ লেখা।
ধারাবাহিক কমিকস অবলোপী শেষ হচ্ছে এ সংখ্যায়। যারা এই কমিকস সিরিজের ভক্ত, তাদের অনুভূতি আমরা জানতে চাই। শেষটা কেমন হলো? তুমি যেমন ভেবেছিলে, তার থেকে আলাদা নাকি তেমনই?
নতুন একটি ধারাবাহিক কমিকস কিশোর আলোর পাতায় নিশ্চয়ই দেখেছ। জুন সংখ্যায় শুরু হয়েছিল। কেমন করে উড়তে হয়। দ্বিতীয় পর্ব এসেছে জুলাই সংখ্যায়। এই কমিকসের লেখা ও আঁকা ফাহিম আনজুম রুম্মানের। কমিকসের মূল চরিত্র নয়ন। সে নিজে উড়তে পারে ও অন্যদের উড়তে শেখায়! অদ্ভুত না? এই সংখ্যায় ধারাবাহিক কমিকস তাতা আর অ্যাডভেঞ্চার অব ইলুবিলু কিন্তু আগের মতোই চলছে। তোমাদের ভালো-মন্দ প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।
নিয়মিত বিভাগ যেমন শব্দের খেলা, অরিগ্যামি, বিজ্ঞানের টুকিটাকি বা গণিতের ধাঁধা, বুদ্ধির ব্যায়াম বা কুইজ, সবই আছে এ সংখ্যায়। আর কিআ মিটিংয়ের খবরটা আমরা অনলাইনে আগেই ছাপিয়ে দিয়েছি। পড়েছ তো? প্রিন্টে খুঁজে না পেলে এখানে দেখো।
একটি বিজ্ঞাপন নিয়েও কথা বলা দরকার। বিজ্ঞাপনটা বিজ্ঞান উৎসবের। শিগগিরই তোমার বিভাগে আসছে বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব। এ উৎসবে থাকবে বিজ্ঞান প্রজেক্ট, কুইজ প্রতিযোগিতা, ম্যাজিক, প্রশ্নোত্তরপর্বসহ মজার সব আয়োজন। এর খবর জানার জন্য বিজ্ঞানচিন্তা অনলাইনেও চোখ রাখতে পারো।
এখন নানা কাজে এআই ব্যবহার হয়। এবারের সংখ্যায় কিছু অলংকরণ থাকছে এআই দিয়ে করা। দেখে জানিয়ো কেমন হয়েছে।