‘প্রাণের মেলা কাজাখস্তানে’ স্লোগান নিয়ে এ বছর বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের ১১টি আঞ্চলিক উৎসব হয়েছে। আগামী ৪ মে শনিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় উৎসব।
শুরু থেকে দেশব্যাপী আঞ্চলিক উৎসব আয়োজন করে আসছে জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। আঞ্চলিক উৎসবে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত হয় জাতীয় উৎসব। যার অন্যতম উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য চারজন চূড়ান্ত প্রতিযোগী বাছাই করা। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় আবাসিক বায়োক্যাম্প এবং অনাবাসিক বায়োক্যাম্প। এর মাধ্যমে সারা দেশের সাড়ে আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত চারজন প্রতিযোগী বাছাই করা হবে। যারা টিম বাংলাদেশ হিসেবে আগামী ৭ থেকে ১৪ জুলাই কাজাখস্তানে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের হয়ে লড়বে।
যারা এ বছর বিভিন্ন আঞ্চলিক জীববিজ্ঞান উৎসবে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ কিংবা দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে তারা জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসবের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। ৩০ এপ্রিল রাত ১১:৫৯ মিনিটে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হয়ে যাবে। তাই জাতীয় পর্বের রেজিস্ট্রেশনের জন্য এখানে ভিজিট করো এখানে।
এবার জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসবে অংশগ্রহণ করবে ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্য থেকে তিন ধাপে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর মূল্যায়নের মাধ্যমে চূড়ান্ত চারজন প্রতিযোগী বাছাই করা হবে। ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মূল পর্বটি হবে সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে। আয়োজনে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে ল্যাব বাংলা। ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে থাকছে বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলো। বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজক বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটি।
আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের ৩৫তম আসরে প্রায় ৮০টি দেশের প্রতিযোগী, জুরি এবং অতিথি অংশগ্রহণ করবেন। উল্লেখ্য, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ৩৪তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের চারজন প্রতিযোগীর মধ্যে তিনজন ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করেছিল এবং একজন সম্মানসূচক মেরিট অর্জন করেছিল।