দুধের এই উপকারিতা জানা আছে কি

দুধ, ডিম, সয়া হাড়ের জন্য ভালোছবি: পেক্সেলস ডটকম

ছোটবেলায় একগ্লাস দুধ খেতে মা কতই না সাধাসাধি করেন! কারণ মা জানেন যে দুধ শিশুর জন্য আদর্শ খাবার। অথচ সে সময় অনেকেই দুধ খেতে চায় না। দুধ একটি উত্তম পুষ্টিকর খাবার। তবে অনেকের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে। তারা দুধ খেলে কিছু অসুবিধার মুখোমুখি হয়।

দুধে আছে ল্যাকটোজ। এ কারণে অনেকেরই দুধ খেতে অস্বস্তি হয়। যারা ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারে না, তাদের সমস্যা হয়। আবার খাবারে কোন কৃত্রিম গন্ধ দেওয়া হলেও অনেকের সমস্যা হয়।

কেউ যদি ১২ দশমিক ৫ গ্রামের বেশি ল্যাকটোজ একবারে গ্রহণ করে, তাহলে তার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত একগ্লাস দুধে এই পরিমাণ ল্যাকটোজ থাকে। কাজেই যাদের ল্যাকটোজে সমস্যা, তারা আধা গ্লাস দুধ খেলে কোনো ক্ষতি হবে না।

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, দিনে তিনবেলা দুধ খেলে শরীর ভালো থাকে। বিজ্ঞানীরা আরও আবিষ্কার করেছেন যে দুধ বিশেষ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ছোটদের জন্য ভালো সংবাদ হলো, যেসব শিশু দুধ খেয়ে অ্যালার্জিতে ভোগে, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, দুধ হাড় গঠন করে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। একই সঙ্গে এটি আমাদের স্নায়ুর কাজেও লাগে। হৃৎপিণ্ডের পেশির জন্যও এটি প্রয়োজনীয়। অনেক শিশু ছোটবেলায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে না।

দুধে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম আছে। একগ্লাস দুধের ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের ৯০ গ্রামই শরীরে মিশে যায়। একই পরিমাণ ক্যালসিয়াম পেতে দুধের বদলে দুই কাপের বেশি ব্রকলি বা ফুলকপিজাতীয় সবজি খেতে হবে।

আরও পড়ুন

কাজেই দুধ যদি আমাদের প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম দেয়, আর ক্যালসিয়াম যদি আমাদের হাড় শক্ত করে, তাহলে আমাদের হাড় শক্ত করার জন্য দুধ খেতে হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু কম দুধ খায়, অথবা দুধ খায় না, তাদের হাড়ের ঘনত্ব কম। তাদের হাড় ভেঙে যাওয়ার হার অন্যদের তুলনায় আড়াই গুণ বেশী।

আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ না খাওয়া শিশুর এনার্জি, ফ্যাট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লোবিন ও নাইসিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে যেসব শিশু দুধ খায়, তাদের তুলনায় তো বটেই।

তবে শিশুর জন্য সবচেয়ে দরকারি হলো মায়ের দুধ। গবেষকেরা মনে করেন, শিশুর জন্মের ১২ থেকে ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম , ফসফরাস, আয়রন, ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদির ক্ষেত্রে গরুর দুধের চেয়ে মায়ের বুকের দুধের কার্যকারিতা আলাদা। তারপরও শরীর ভালো রাখার জন্য গরুর দুধ খেতে হবে। আর সেটা জীবনভর খাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন