ছায়াবান্ধব গাছের কী ধরনের পরিচর্যার প্রয়োজন, এ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ‘গ্রিন সেভারস’-এর প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি—
সরাসরি সূর্যালোক সহ্য করতে পারে না বলেই এরা ছায়াবান্ধব উদ্ভিদ। স্থান পায় পড়ার টেবিলে, বৈঠকখানায় কিংবা সিঁড়ির ধাপে ধাপে। তবে আট-দশ দিন পরপর চার-পাঁচ ঘণ্টার জন্য রোদে দেওয়া উচিত।
গাছে পানি দেওয়ার বেলায় একটু সতর্ক থাকতে হবে। ঘরে যেহেতু গাছ সূর্যালোক পাবে না, গাছ তার নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি পানি শোষণ করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত পানিতে শিকড়ে পচন ধরেও গাছ মারা যায়।
টবের তলায় প্রথমে কিছু ইটের খোয়া, নারকেলের ছোবড়া, তুলা বা সুতি কাপড় দিয়ে নেওয়া ভালো। তারপর মাটি, সেই মাটিতে গাছ এবং ওপর থেকে যাতে মাটি না দেখা যায় এমন করে ছোট ছোট নুড়ি পাথর দেওয়া যায়। তাতে দেখতেও খুব সুন্দর দেখায়। এমন ছোট নুড়ি পাথর পাবে অ্যাকুরিয়ামের দোকানে।
টবের মাটির সঙ্গে কাঠের গুঁড়া ও বালুর মিশ্রণ দিতে পারো।
টবের ভেতরে-বাইরে রং করা ভালো। তাতে দেখতে যেমন ভালো দেখাবে, আবার পানির ছোঁয়ায় টবের গায়ে ছত্রাক ও শৈবাল জন্মাতে পারবে না।
টবের নিচে টবের চেয়ে বড় ব্যাসার্ধের একটি ট্রে রাখো, তাতে পড়ার টেবিল অপরিষ্কার হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। পোড়ামাটি বা সিমেন্ট-বালুর এমন ট্রে কিনতে পাবে টবের সঙ্গেই।
বোতলের পানিতে গাছ লাগালে তিন-চার দিন পরপর বদলে দিলেই হলো, সারটার কিচ্ছু লাগবে না।
ধুলাবালি পড়ে পাতা মলিন দেখাতে পারে, তাই পানি স্প্রে করে দূর করতে পারো। টিস্যু বা সুতি কাপড়ে নারকেল তেল নিয়ে পাতা চকচকে আকর্ষণীয় ভাব ফিরিয়ে আনতে পারো।
মরা পাতা ও অতিরিক্ত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে।
ধরো, ঈদের ছুটিতে কিংবা গ্রীষ্মের ছুটিতে দিন কতকের জন্য বেড়াতে গেলে মামাবাড়ি। গাছগুলোর জন্য চিন্তা হবে? মোটেই না! টানা দিন কয়েক ‘গৃহবন্দী’ থাকলেও ছায়াবান্ধব গাছের কোনো সমস্যা হয় না। যাওয়ার ও বাসায় ফেরার দিন গাছের গোড়ায় পরিমিত পানি দিলেই হলো।