কিআড্ডার সেঞ্চুরি
নতুন-পুরোনো পাঠকদের সমারোহে ১৯ এপ্রিল বেলা তিনটায় কিশোর আলোর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হলো কিশোর আলোর ১০০তম মাসিক সভা।
কিশোর আলোর স্বেচ্ছাসেবক জাহিন যাইমাহ্ কবিরের সঞ্চালনায় পাঠকদের পরিচয়পর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সভা। ১০০তম কিআড্ডা হওয়ায় পাঠকদের মধ্যে আলাদা আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এবারের এই বিশেষ আড্ডায় ঢাকার পাঠকেরা তো ছিলই, এসেছিল কিশোরগঞ্জ থেকে অংশ নেওয়া নবম শ্রেণির এক কিআ পাঠক।
শুরুতেই আড্ডায় অংশ নেন কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক। আলোচিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মজার গল্প বলেন তিনি। এরপর সবাই মিলে ১০০তম কিআড্ডা পর্যন্ত কিশোর আলোর মাসিক সভার যাত্রা নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও চিত্র বড় পর্দায় উপভোগ করে। এই ভিডিও চিত্র দেখানোর পর অংশগ্রহণকারীরা কততম আড্ডায় এসেছিল, তার স্মৃতিচারণা করেন। যেমন প্রথম কিআড্ডায় এসেছিলেন কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আহমাদ মুদ্দাসসের। ৫০তম আড্ডায় এসেছিলেন কিশোর আলোর স্বেচ্ছাসেবক তাসফিয়া ঋতু। তাঁরা পুরোনো কিআড্ডার স্মৃতিচারণা করেন।
সভার এই পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের ভাষা ও ভাষার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন জাভেদ হুসেন। যিনি একাধারে কবি, লেখক ও অনুবাদক। তিনি বলেন, ‘হাজার বছর আগে পাথরে খোদাই করে যে কথাটা লেখা হয়েছিল, সেটি আমরা আজও জানতে পারছি ভাষার মাধ্যমে। ভাষার লিখিত রূপ না থাকলে আবার আমাদের নতুন করে পুরোনো জ্ঞান আবিষ্কার করতে হতো।’
এরপরই আসন্ন ‘অ্যাকটিভ কিডস ফান ফেস্ট ২০২৫’ নিয়ে কথা বলেন অ্যাকটিভ পালসের সদস্যরা। তাঁরা আসন্ন ম্যারাথন ইভেন্টে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান।
আড্ডার এ পর্যায়ে কিশোর আলোর এক খুদে পাঠক নজরুলসংগীত পরিবেশন করে। এরপর সবাইকে কার্টুন আঁকার সহজ কৌশল শেখাতে যুক্ত হন কিশোর আলোর নিয়মিত কার্টুনিস্ট এস এম রাকিব।
প্রতিবার কিআড্ডায় একটিমাত্র ব্যান্ড এলেও এবার পাঠকদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে ১০০তম সভায় সবাইকে চমকে দিয়ে পরপর হাজির হয়েছিল দুটি ব্যান্ড।
প্রথমেই পাঠকদের সঙ্গে গানের আড্ডায় মেতে ওঠে হার্ড রক ব্যান্ড ওয়ারফেজ। এসেছিলেন ওয়ারফেজের শেখ মনিরুল আলম টিপু, পলাশ নূর এবং শামস মনসুর। এরপর আড্ডায় আসে মেঘদল। মেঘদল থেকে ছিলেন শিবু কুমার শীল। পাঠকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে গানের সুরে সময় বয়ে যায়।
সেঞ্চুরি সভা উপলক্ষে মিটিং শেষে ছিল সেভয়ের পক্ষ থেকে আইসক্রিম কেক। আইসক্রিম খেতে খেতে চলে কিআর সাবেক সহকারী সম্পাদক ও কিআড্ডার সঞ্চালক পাভেল মহিতুল আলমের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আড্ডা। প্রতিবারের মতো এবারও ছিল কিআ কুইজ এবং বিজয়ীদের জন্য আকর্ষণীয় গিফট। পুরো মিটিং সঞ্চালনা করেন কিআর সহযোগী সম্পাদক আদনান মুকিত এবং স্বেচ্ছাসেবক জাহিন যাঈমাহ্ কবির। সবশেষে সেঞ্চুরি মিটিংয়ের ইতি টানা হয় নিউজিল্যান্ড ডেইরির পক্ষ থেকে মজার চিপসের মধ্য দিয়ে।