মহাকাশ অনুসন্ধান
চাঁদে হাঁটা থেকে শুরু করে সৌরজগতের বাইরে অনুসন্ধানী নভোযান পাঠিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য সীমা ছাড়িয়ে অসীমে উঁকি দিচ্ছে মানুষ।
১৯৬১ সালে রাশিয়ান নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মহাকাশে ভ্রমণ করেন। তিনি মাত্র ১০৮ মিনিট মহাকাশে ছিলেন।
নভোচারীদের স্পেসস্যুট পরতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য স্পেসস্যুটের নিচে বিশেষ ধরনের আরেকটি পোশাক পরেন নভোচারীরা।
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর স্পেস শাটল প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক নামে বিশাল রেডিও অ্যানটেনা ব্যবহার করে নাসা। তিনটি ভিন্ন অঞ্চলে এগুলো বসানো আছে। পৃথিবী থেকে কোটি কোটি কিলোমিটার দূরের নভোযানকে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করে।
২০০৩ সালে চীনের প্রথম মানুষবাহী মহাকাশ অভিযানে নভোচারী হিসেবে ছিলেন ইয়াং লিওয়েই। দেড় হাজারের বেশি প্রার্থীর মধ্য থেকে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। শেনচৌ ৫ নভোযানে চড়ে তিনি ১৪ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে।
খালি চোখে দেখা যায় এমন বস্তুর চেয়ে চার লাখ গুণ অনুজ্জ্বল বস্তু পরিমাপ করতে পারে গায়া স্পেস অবজারভেটরি।
অ্যাপোলো ১৩ মিশনে ৩ নভোচারী পৃথিবী থেকে ৪ লাখ ১৭১ কিলোমিটার দূরে ভ্রমণ করেছিলেন। মানুষের পক্ষে এটাই মহাকাশে সবচেয়ে বেশি দূর ভ্রমণের রেকর্ড।
১৯৮৪ সালে ৪ নভোচারী মানবনিয়ন্ত্রিত জেটপ্যাক ব্যবহার করে দুটি স্যাটেলাইট পুনরুদ্ধার করতে। এ সময় তাঁরা মহাশূন্যে ভেসে ভেসে নভোযান থেকে ৯০ মিটার (৩০০ ফুট) দূরে গিয়েছিলেন।
ভয়েজার ১ নভোযান ১৯৭৭ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়। নভোযানটি এখন পৃথিবী থেকে ২৩৫০ কোটি কিলোমিটার দূরে আছে।
নাসার পাঁচটি স্পেস শাটলের ১৩৫টি মিশনে সম্মিলিত দূরত্ব ৮২ কোটি ৬৭ লাখ কিলোমিটার।
নারী হিসেবে সর্বোচ্চ ৩২৮ দিন মহাকাশে থেকে রেকর্ড করেছেন ক্রিস্টিনা কোচ।
বৃহস্পতি গ্রহে অনুসন্ধানের জন্য জুনো নভোযানে ৩টি অ্যালুমিনিয়ামের মূর্তি পাঠানো হয়েছিল।
২০২১ সালে ‘নিউ শেপার্ড ৪’ নভোযানের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে সর্বকনিষ্ঠ ১৮ বছরের এবং সবচেয়ে বয়স্ক ৯০ বছরের নভোচারী ছিলেন।
পৃথিবীতে মানুষনিয়ন্ত্রিত জেটপ্যাক এবং স্পেসস্যুটের ওজন প্রায় ২৬৬ কেজি।
৫৫টি ভাষা ও ১১৫টি ছবির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা রেকর্ড করা আছে একটি সোনার ডিস্কে। ভয়েজার নভোযানের মাধ্যমে এটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌরজগতের বাইরে। উদ্দেশ্য ভিনগ্রহীদের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো এবং ভাষা ও ছবিগুলো সংরক্ষণ করা।
চাঁদে ৩টি লুনার রোভার মোট ৯০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে। লুনার রোভারের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার।
রুশ নভোচারী আনাতোলি সলোভিয়েভ ১৬ বারে ৮২ ঘণ্টা ২২ মিনিট স্পেস ওয়াক করে রেকর্ড করেছেন।