তোমাদের অনেকের নিশ্চয়ই গোয়েন্দা গল্প খুব প্রিয়? প্রায়ই মনে হয়, ইশ্, আমিও যদি দারুণ একটা রহস্য পেতাম আর সেটার সমাধান করে ফেলতে পারতাম মাথা খাটিয়ে! কিন্তু আশপাশে কিছু ঘটে না দেখে সেই আশা পূর্ণ হয় না তোমার, তাই না? আজ তোমাদের জানাব এমন এক রহস্য গল্পের কাহিনি, যেটা দেখলে তোমাদের মনে হবে, আরে, এ ধরনের ঘটনা তো প্রতিদিনই ঘটছে আমাদের আশপাশে! আগে কেন এগুলো খেয়াল করলাম না! ‘হিওকা’ অ্যানিমেটিতে ঠিক এ ধরনেরই ঘটনা ঘটতে থাকে।
অ্যানিমেটির গল্প এগোয় কামিয়ামা হাইস্কুলের চারজন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে। ওরেকি হোতারু, যে কি না নিজেকে শক্তি সঞ্চয়কারী মনে করে। তুখোড় মস্তিষ্ক এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতার অধিকারী হোতারু যে কাজটা করার প্রয়োজন নেই, সেটা কখনোই করে না। কিন্তু যেকোনো জরুরি কাজ সে স্বল্প সময়ের মধ্যে করে ফেলতে পারে। চিতান্দা এরু, কামিয়ামা শহরের বেশির ভাগ কৃষিজমির মালিক সম্ভ্রান্ত চিতান্দা পরিবারের একমাত্র মেয়ে, কথাবার্তা, চালচলন ও পড়াশোনায় তুখোড়; শুধু বড় বড় উজ্জ্বল চোখ দুটো তার কৌতূহলী স্বভাবটাকে প্রকাশ করে দেয়। খুব ছোটখাটো ঘটনাও মনে রাখার ক্ষমতার অধিকারী এই মেয়েটির কাছে পৃথিবীটা একটি কৌতূহলের বাক্স। এবং এই কৌতূহল না মেটা পর্যন্ত সে খোঁজ করে যাবেই!
অ্যানিমের অপর দুই চরিত্র তাদের সহপাঠী ফুকুবে সাতোশি ও ইবারা মায়াকা। তারা মজার মজার কথা বলতে পারে। ওরা ঘটনাক্রমে একই ক্লাবের সদস্য হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে ওরা একসঙ্গে ওদের আশপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ছোট্ট, কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো রহস্যের সমাধান করতে থাকে।
শুনেই অ্যানিমেটাকে মজার মনে হচ্ছে না? আসলেই তা-ই, খুব মজার এই অ্যানিমেটির গ্রাফিকস দেখলে যে-কারও মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য! এর গান ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুব মনকাড়া, আর ওদের চারজনের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখলে তোমাদের সবার মনে হবে, এমন একটা স্কুলজীবন যদি আমারও থাকত!
তোমরা যারা মাত্র ২২ পর্বের এই অ্যানিমেটা দেখোনি, দেরি না করে দেখে ফেলতে পারো।