ডক্টর হুর ৫০ বছর
‘৫০ বছর ধরে তিনি অন্যদের ঠেকিয়ে রেখেছেন, কেউ যাতে এককভাবে বিশ্বজয়ী বনে না যেতে পারে। এবার তিনি ভাবলেন আমারও নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দেওয়া দরকার। এ জন্য তিনি নিজেই এবার বিশ্বজয় করে ফেললেন।’ গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ট্রফিটা হাতে নিয়ে বললেন ডক্টর হু-এর নির্বাহী প্রযোজক স্টিভেন মোফাট। ঠিকই তো, ৫০ বছর ধরে দর্শকদের একইভাবে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখাটা কি মুখের কথা! ব্রিটিশ টেলিভিশন সিরিজ ডক্টর হু-এর ৫০ বছর পূর্ণ হলো এবার। ২৩ নভেম্বর প্রচার হলো এ উপলক্ষে এক বিশেষ পর্বের, যার শিরোনাম ছিল ‘দ্য ডে অব দ্য ডক্টর’।
বিশ্বের ৯৪টি দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ এদিন চোখ রেখেছিলেন টেলিভিশনের পর্দায়। আর এ জন্য জুটে গেল বিশ্ব রেকর্ড। ৭৫ মিনিটের এ পর্বে এদিন দেখানো হয় তিন ডক্টর—ম্যাট স্মিথ, ডেভিড টেন্যান্ট ও জন হার্টকে। স্পেশাল এফেক্ট আর নানা টাইম জোনের জাদু তো ছিলই, কিন্তু দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে এই ডক্টর চরিত্রগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক।
সারা বিশ্বের নানা সিনেমা হলে থ্রিডি সম্প্রচারও করা হয় এ পর্বটির। রীতিমতো উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রিয় এ সিরিয়ালটির পঞ্চাশতম বার্ষিকী পালন করেন ভক্তরা।
এক এলিয়েন যাঁর আছে দুটি হৃদয়, ঘুরে বেড়ান সময় আর শূন্যের মধ্যে, বিশ্বকে নিরাপদ রাখাই যাঁর কাজ, মোটামুটি এই হলেন ডক্টর হু। আর আছে টারডিস, ডক্টরের বাহন।
যার চেহারা ব্রিটিশ পুলিশ বক্সের মতো, ভেতরে ঢুকলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। এতে চড়েই ডক্টর সময় পরিভ্রমণ করেন। মজার ব্যাপার হলো, ডক্টর কিন্তু একক কেউ নন। অসুস্থতা, বয়স বা আঘাতের ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা হলে তিনি নতুন রূপে দেখা দিতে পারেন। এ পর্যন্ত ১১ জন ডক্টরের দেখা মিলেছে। ১১তম ডক্টরের ভূমিকায় এখন অভিনয় করছেন ম্যাট স্মিথ।
ডক্টর দেখতে সাদামাটা মানুষের মতো হলেও তাঁর ক্ষমতা কিন্তু কোনো সুপারহিরোর চেয়ে কম নয়। তাঁর বেঁচে থাকার জন্য বাতাসের প্রয়োজন নেই। সাংঘাতিক ঠান্ডাও সহ্য করতে পারেন তিনি।
ভক্তদের মধ্যে যারা ভাবছ ৫০ বছর পূর্তি পালন উপলক্ষেই সবচেয়ে বড় চমকটা দিয়ে ফেলেছেন এর নির্মাতারা, তারা ভুল করছ। এ বছর ক্রিসমাসের দিন ১১তম ডক্টরকে বদলে ফেলার কথা। এদিন আবির্ভাব হবে ১২তম ডক্টরের। আর এতে অভিনয় করবেন পিটার ক্যাপালডি। দ্য ডে অব দ্য ডক্টর দেখে থাকলে তাঁর সঙ্গে তো ইতিমধ্যেই পরিচয় হয়ে গেছে তোমাদের। এই পর্বে ছোট্ট একটা চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে।