পশুপাখি ভালোবাসলে দেখতে পারো এই ১০ চলচ্চিত্র

প্রাগৈতিহাসিক কাঠবিড়ালসদৃশ এক দুষ্টু ইঁদুর, স্ক্রাট ছিল সিনেমার মূল চরিত্রে
পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যে পশুপাখি বা কোনো না কোনো প্রাণী ভালোবাসে না। অনেকে পশু-প্রাণীর প্রতি বিশেষ যত্নও নিয়ে থাকে। প্রাণীকে যারা ভালোবাসে, তাদের নিয়ে নানা সময়ে লেখা হয়েছে নানা গল্প, তেমনি বানানো হয়েছে সিনেমা। যেগুলো সব বয়সী মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সে রকম ১০টি ছবি দেখতে পারো তুমিও।

বামবি

শৈশবে দেখা প্রথম সিনেমার তালিকায় প্রথমে আছে বামবি। হয়তো অনেক মানুষের সিনেমা দেখা শুরু বামবি দেখে। মূল চরিত্রে থাকা বামবি নামক হরিণশাবকটির কারণেই সিনেমাটি সবার মন কেড়েছে। কৌতূহলী ও আদুরে এক চরিত্র বামবি। বামবি তার মাকে বেশ ভালোবাসত। তার মাকে হরিণশিকারিরা মেরে ফেললে জঙ্গলটি বামবির জন্য হয়ে ওঠে একাকিত্বের। তবে ভাগ্যক্রমে জঙ্গলের মধ্যে ওর বেশ কিছু বন্ধু তৈরি হয়। যার মধ্যে ছিল থামপার নামের এক খরগোশ। এমন করেই বামবি নামের হরিণশাবকটি বেড়ে ওঠে।

ওল্ড ইয়েলার

সিনেমার মূল চরিত্রে থাকা কুকুরটি একবার হিংস্র প্রাণীর হাত থেকে কিশোরকে রক্ষা করে

রোমাঞ্চকর সিনেমার মধ্যে মজার একটি সিনেমা ওল্ড ইয়েলার। কিশোর বয়সী এক ছেলে রাস্তার ধারে এক হলদেটে কুকুরের দেখা পায়। অনিচ্ছায় হলেও ঘটনাচক্রে ছেলেটি কুকুরটিকে নিজের বাসায় নিয়ে আসে। কুকুরটিকে সবাই অবহেলার চোখে দেখে। সিনেমার মূল চরিত্রে থাকা কুকুরটি একবার হিংস্র প্রাণীর হাত থেকে কিশোরকে রক্ষা করে। ওল্ড ইয়েলার সিনেমার সেই হলদেটে কুকুরটি ছিল ১৭০ পাউড ওজনের মাস্টাডর প্রজাতির।

লেডি অ্যান্ড দ্য ট্রাম্প

ঘটনাক্রমে ট্রাম্প নামক আরেক কুকুরকে খুঁজে পায় লেডি

প্রাণীদের ভালোবাসা নিয়ে একটি সিনেমা লেডি অ্যান্ড দ্য ট্রাম্প। বাড়ির মধ্যে অবহেলার শিকার হলে লেডি নামক কুকার স্পেনিয়েল প্রজাতির কুকুর বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। ঘটনাক্রমে ট্রাম্প নামক আরেক কুকুরকে খুঁজে পায় লেডি। শত সমস্যার মধ্য থেকেও লেডিকে বিপদ থেকে রক্ষা করে। বাড়ির বাইরের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে।

হোমওয়ার্ড বাউন্ড, দ্য ইনক্রেডিবল জার্নি

কুকুর-বিড়ালপ্রেমী মানুষের জন্য হতে পারে ছুটির দিনে দেখে সময় কাটানোর মতো অসাধারণ সিনেমা

আমেরিকান বুলডগ চান্স, হিমালয়ান বিড়াল স্যাসি ও শ্যাডো নামক সোনালি বর্ণের রিট্রাইভার প্রজাতির বুদ্ধিমান শিকারি কুকুরের গল্প নিয়ে এই সিনেমা। কুকুর-বিড়ালপ্রেমী মানুষের জন্য হতে পারে ছুটির দিনে দেখে সময় কাটানোর মতো অসাধারণ সিনেমা।

আইস এইজ

প্রাগৈতিহাসিক কাঠবিড়ালসদৃশ এক দুষ্টু ইঁদুর, স্ক্রাট ছিল সিনেমার মূল চরিত্রে

আইস এইজ সিনেমার আগে কখনো শিশু-কিশোরদের কাছে এত আকর্ষণীয়ভাবে প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ধারণাটি ছিল না। প্রাগৈতিহাসিক কাঠবিড়ালসদৃশ এক দুষ্টু ইঁদুর, স্ক্রাট ছিল সিনেমার মূল চরিত্রে। তার সঙ্গে ছিল এক হাস্যরসাত্মক বাঘ, একটি স্লথ ও এক গম্ভীর ম্যামথ। মূলত, প্রাগৈতিহাসিককালে এসব প্রাণীর গল্পই দেখানো হয়েছে সিনেমাটিতে।

দ্য লায়ন কিং

সিমবাকে ওর বাবা মুফাসার সিংহদের রাজ্যকে ধরে রাখার উপদেশ দেন

মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া একটি অ্যানিমেটেড সিনেমা দ্য লায়ন কিং। সিনেমাটি তৈরি হয় মূলত দ্য ডিজনি– এর উত্থানের সময়, যা মূলত আফ্রিকার সিংহদের রাজ্য নিয়ে। মূল চরিত্র হিসেবে ছিল সিমবা। আরও কিছু চরিত্রের দেখা পাওয়া যায়। সিমবাকে ওর বাবা মুফাসার সিংহদের রাজ্যকে ধরে রাখার উপদেশ দেন। এর মাধ্যমে গল্পের শুরু হয়। সিমবা যেন রাজ্যের পরবর্তী রাজা হতে পারে, এ জন্য পরামর্শ। কিন্তু এতেই ঘটে বিপত্তি। কাহিনির একপর্যায়ে দেখা যায়, স্কার তার নিজের ভাই মুফাসাকে মেরে জোর করে সিংহাসন দখল করে নিয়েছে।

দ্য জাঙ্গাল বুক

অ্যানিমেটেড এ সিনেমার মূল চরিত্রের নাম মুগলি

নেকড়েদের কাছে দিনা সিনচার নামের এক বন্য শিশুর বেড়ে ওঠার সত্য কাহিনি অবলম্বনে তৈরি করা হয় দ্য জাঙ্গাল বুক সিনেমাটি। অ্যানিমেটেড এ সিনেমার মূল চরিত্রের নাম মুগলি। বনের সবার কাছে পরিচিত ছিল মানবশিশু হিসেবে। সিনেমাটিতে দেখা যায় মুগলির ভালুক–বন্ধু বালু আর চিতা বন্ধু বাঘীরা তাকে মানবসমাজে ফিরে যাওয়ার কথা বলে।

দ্য লিটল মারমেইড

হানস ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসনের ড্যানিস রূপকথার গল্প অবলম্বনে তৈরি করা

দ্য লিটল মারমেইড সিনেমাটি হানস ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসনের ড্যানিস রূপকথার গল্প অবলম্বনে তৈরি করা হয়। এরিয়েল নামক এক ১৬ বছর বয়সী জলপরির গল্প নিয়ে সিনেমাটি। অসাধারণ কল্পরাজ্যে ঘুরে বেড়ানো আর দুই কাঁকড়া–বন্ধুর গল্প রয়েছে সিনেমাজুড়ে।

১০১ ডালমেশিয়ানস

অনেকগুলো কুকুরছানার রোমাঞ্চকর মজার কাহিনি

অনেকগুলো কুকুরছানার রোমাঞ্চকর মজার কাহিনি নিয়ে অ্যানিমেটেড সিনেমা ১০১ ডালমেশিয়ানস। পশমের কোট বানানোর উদ্দেশ্যে এক মহিলা বেশ কিছু ডালমেশিয়ান জাতের কুকুরছানাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই কাহিনির শুরু। কুকুরছানাগুলোর অভিভাবক, পেরডিটা ও পোনগো উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়লে ১০১ ডালমেশিয়ানস সিনেমার কাহিনি জমে ওঠে।

জুরাসিক পার্ক

এমন এক থিম পার্ক আছে, যেখানে রয়েছে সব ডাইনোসরের বসবাস

চিন্তা করে দেখো, এমন এক থিম পার্ক আছে, যেখানে রয়েছে সব ডাইনোসরের বসবাস। তাহলে কেমন হতো? এমন এক চিন্তা থেকেই ডাইনোসরদের থিমপার্কের কাহিনির দেখা পাওয়া যায় জুরাসিক পার্ক সিনেমায়। তবে সিনেমাটিতে বিশাল আকারের ভয়ানক ডাইনোসরগুলো দেখানোর জন্য আসলে কোনো ডাইনোসর দেখানো হয়নি। ব্যবহৃত হয়েছে অ্যানিমেশন ও কম্পিউটার জেনারেটেড ছবি।