আয়রনম্যান থ্রি এবং সিজিআই রবার্ট ডাউনি জুনিয়র

আয়রনম্যান থ্রি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালের মে মাসে। মুভির শুটিং চলার সময় পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পান অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র । এ কারণে প্রায় ছয় সপ্তাহ শুটিং বন্ধ থাকে। এতে একটু বিপদেই পড়ে মার্ভেল স্টুডিওজ। কারণ, শুটিং ঠিক সময়ে শেষ করা না গেলে মুভির মুক্তির তারিখ ঠিক রাখা কঠিন হয়ে যাবে। আয়রনম্যান থ্রি-এর কয়েক বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার। ওই মুভিতে সুপার সোলজার হওয়ার আগে স্টিভ রজার্সকে ছোটখাটো দেখানো হয়েছিল। সেটার জন্য একটি বিশেষ সিজিআই (কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ) টেকনিক ব্যবহার করেছিল মার্ভেল। রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের অনুপস্থিতিতেও একই ধরনের একটা পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

এই পুরো দৃশ্যে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের মুখকে একজন বডি ডাবলের শরীরের ওপর বসানো হয়েছিল সিজিআই ব্যবহার করে।
ছবি: এক্স

আয়রনম্যান থ্রির একদম শেষের দিকে দেখা যায়, মালিবুতে সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে আয়রনম্যান তার বুক থেকে খুলে ফেলা আর্ক রিঅ্যাক্টরটাকে সমুদ্রের বুকে ছুড়ে ফেলে দেয়। আর গাড়ির পেছনে বেঁধে নিয়ে আসে তার ওয়ার্কশপে থাকা রোবট ডাম-ইকে। এই পুরো দৃশ্যটায় রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের মুখকে একজন বডি ডাবলের শরীরের ওপর বসানো হয়েছিল সিজিআই ব্যবহার করে। ভিএফএক্স কোম্পানি ওয়েটা ডিজিটালের সহযোগিতায় এই পুরো কাজটি করে মার্ভেল স্টুডিওজ। প্রথমে একজন বডি ডাবল ব্যবহার করে সমুদ্রের পাড়ের ওই দৃশ্যটা ধারণ করা হয়। তারপর আয়রন ম্যান থ্রি-র জন্য রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের মুখমণ্ডলের ক্লোজআপ যেসব শট ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলো থেকে দরকারমতো শটগুলো বসিয়ে দেওয়া হয় ওই বডি ডাবলের মুখ সরিয়ে দিয়ে। ভিএফএক্স আর্টিস্টরা এরপর ফ্রেম বাই ফ্রেম মুখের নড়াচড়ার ব্যাপারটা সমন্বয় করেন। আলো–ছায়ার ব্যাপারটাও একই সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা হয়। মুভি হলের পর্দায় চূড়ান্ত দৃশ্য দেখে দর্শকের আসলে বোঝারই উপায় ছিল না যে ওটা আসলে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ছিলেন না!