পারিবারিক রক ব্যান্ড এসেইস নিয়ে এসেছে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘ছিল সবই এখানে’। মা, বাবা ও তিন কন্যার ব্যান্ড এসেইস ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রকাশ করেছে সাতটি গানের এই অ্যালবাম। গানগুলো গেয়েছে এসেইস ব্যান্ডের সবাই মিলে। তিন কন্যা আলিনা সাইফ, সারওয়া সাইফ ও ঈদ সাইফের সঙ্গে মা রাকিয়া ইশরা ও বাবা সাইফ শরীফ মিলে এই ব্যান্ড।
অ্যালবামের সাতটি গানই এসেইসের নিজস্ব স্টুডিওতে রেকর্ডিং, মিক্সিং ও মাস্টারিং করা হয়েছে। অ্যালবামের সাতটি গানের মধ্যে ছয়টি গানের কথা লিখেছেন মা ইশরা ও সুর করেছেন বাবা সাইফ শরীফ। একটি গানের কথা লিখেছেন তাহরিম হাসান, সুর দিয়েছে সারওয়া। সব কটি গানে গিটার বাজিয়েছে সারওয়া ও আলিনা আর বেজ গিটারের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছে ঈদ। কি–বোর্ডে ছিলেন সাইফ শরীফ এবং ড্রামসে রাকিয়া ইশরা। সব গানই এসেইসের নিজস্ব গান।
এই অ্যালবামের গানগুলো হলো ‘রূপকথার গল্প নয়’, ‘জাগো’, ‘ছিল সবই এখানে’, ‘মুখ ও মুখোশ’, ‘একমুঠো স্বপ্ন’, ‘সীমার মাঝে অসীম’ ও ‘ছায়া শরীর’।
ফার্মগেটের হেভি মেটাল টি–শার্ট স্টোরে পাওয়া যাবে অ্যালবাম উপলক্ষে বের হওয়া টি–শার্ট। যাঁরা অ্যালবাম সংগ্রহ করতে চান, তাঁদের জন্যও একটি অ্যালবাম তৈরি করেছে ব্যান্ডটি।
অ্যালবামের গানগুলো স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক ও অ্যামাজন মিউজিক প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ইউটিউব ও ফেসবুকে শোনা যাচ্ছে।
কোভিডের শুরুতে ফেব্রুয়ারির এক সন্ধ্যায় ব্যান্ডের নাম ঠিক করে ফেলে সবাই মিলে। পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামের আদ্যক্ষর সাজিয়ে ব্যান্ডের নাম দেওয়া হলো ‘এসেইস’ (ASEIS)। আলিনার এ (A), সারওয়ার এস (S), ঈদের ই (E), ইশরার আই (I) ও সাইফের এস (S)—সবটা মিলেই এসেইস।
ব্যান্ডের পথচলার শুরু থেকেই এসেইস দেশে-বিদেশে অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভক্তদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন কনসার্ট, ক্লাব ও করপোরেট শোতে নিয়মিত দর্শক-শ্রোতাকে মুগ্ধ করে এর পাশাপাশি এসেইস তাদের পরের অ্যালবাম প্রকাশের ঘোষণাও দিয়েছে। প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারিতে তাদের নতুন একটি অ্যালবাম প্রকাশের পরিকল্পনা আছে বলে এসেইস ব্যান্ডের ফেসবুক পেজ লাইভে জানান সাইফ শরীফ। পরের অ্যালবামটি হবে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনপ্রিয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দেওয়া বিখ্যাত কিছু গান নিয়ে। অ্যালবামের সম্ভাব্য নামও ঠিক করেছে তারা—ভাবনায় ১৯৭১।
কিশোর আলোর পাতায় এসেইস ব্যান্ড নিয়ে লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। এসেইস ব্যান্ডের এসেইস হয়ে ওঠার গল্প জানতে লেখাটি পড়তে পারো।