সুপার সোলজার ক্যাপ্টেন আমেরিকা
ক্যাপ্টেন আমেরিকা | নাম: স্টিভ গ্র্যান্ট রজার্স | অভিনেতা: ক্রিস ইভানস
ব্রুকলিনের একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম স্টিভ রজার্সের। শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও তার লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। বারবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ‘সুপার সোলজার’ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হয় স্টিভ। ডাক্তার আব্রাহাম আরস্কিনের তৈরি করা ‘সুপার সোলজার’ সিরামের প্রভাবে বদলে যায় স্টিভ রজার্সের শারীরিক গঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্যাপ্টেন আমেরিকার মূল মিশন ছিল নাৎসি বাহিনীর সায়েন্টিফিক ডিভিশন ‘হাইড্রা’কে উৎখাত করা। হাইড্রাকে থামাতে গিয়ে বোমাভর্তি যুদ্ধবিমান ও টেসারেক্ট নিয়ে আর্কটিকে সমাহিত হয় ক্যাপ্টেন আমেরিকা।
৬৬ বছর বরফে সমাহিত থাকার পর ২০১১ সালে উদ্ধার করা হয় ক্যাপ্টেন আমেরিকাকে। নিক ফিউরির অনুরোধে অ্যাভেঞ্জার্স ও শিল্ডে যোগ দেয় ক্যাপ্টেন আমেরিকা। পরে শিল্ডের ভেতর আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা হাইড্রাকে আবিষ্কার করে রজার্স। ব্ল্যাক উইডো ও ফ্যালকনের সহযোগিতায় হাইড্রাকে পরাজিত করে ক্যাপ্টেন আমেরিকা। সুপারহিরোদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৈরি করা সোকোভিয়া অ্যাকর্ডসের বিপক্ষে অবস্থান নেয় ক্যাপ্টেন আমেরিকা। চুক্তির বিরোধিতা করায় সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তাকে। নিজেদের বাঁচাতে সহযোগীদের নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় স্টিভ রজার্স। থানোসের আক্রমণ থেকে ইউনিভার্সকে রক্ষা করতে শেষবারের মতো শিল্ড হাতে তুলে নেয় স্টিভ রজার্স।