মার্ভেলের আরও যত টিভি সিরিজ
মূলত মুভিই বানায় মার্ভেল স্টুডিওজ। তবে ফেজ ফোরের অংশ হিসেবে কোম্পানিটি টিভি সিরিজও বানাতে শুরু করে ২০২১ সালে। ওই বছরের জানুয়ারিতে মুক্তি পায় ‘ওয়ান্ডাভিশন’। এরপর আরও আটটি ভিন্ন ভিন্ন টিভি সিরিজ মুক্তি দিয়েছে মার্ভেল (‘কীভাবে দেখবে এমসিইউ’ লেখায় এই সিরিজগুলোর নাম পাবে)। এই টিভি সিরিজগুলো মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের অংশ। তার মানে, মার্ভেল স্টুডিওজের বানানো মুভিগুলোর ঘটনাপ্রবাহ এই টিভি সিরিজগুলোর গল্প দিয়ে সরাসরি প্রভাবিত হয়। একইভাবে টিভি সিরিজগুলোর চরিত্র ও গল্পের প্রভাব দেখা যায় মুভিগুলোতে।
কিন্তু মার্ভেল স্টুডিওজের বানানো টিভি সিরিজগুলোর আগেও মার্ভেল টেলিভিশন কিছু টিভি সিরিজ বানিয়েছে। ২০১৩ সালে মার্ভেল টেলিভিশন বানায় তাদের প্রথম টিভি সিরিজ ‘এজেন্টস অব শিল্ড’। মার্ভেল স্টুডিওজ টিভি সিরিজ বানানো শুরু করার অনেক আগের কথা সেটা। সাতটি সিজন ধরে এই সিরিজ প্রচারিত হয় ২০২০ সাল পর্যন্ত। এমসিইউর স্পাই এজেন্সি শিল্ডের প্রতিদিনের কার্যক্রম এবং এর এজেন্টদের রোমাঞ্চকর সব মিশনের দেখা পাওয়া যায় ‘এজেন্টস অব শিল্ড’-এ। সিরিজটি প্রচারিত হয়েছিল এবিসি চ্যানেলে। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘এজেন্ট কার্টার’। এতে মূল চরিত্র হিসেবে ছিল ক্যাপ্টেন আমেরিকার প্রেমিকা পেগি কার্টার। এ ছাড়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে একে একে মুক্তি পায় ‘ডেয়ারডেভিল’, ‘জেসিকা জোনস’, ‘লুক কেইজ’, ‘আয়রন ফিস্ট’ ও ‘পানিশার’। সিরিজগুলোর মধ্যে বিভিন্ন চরিত্রের ক্রসওভারও দেখা যায়। এই সুপারহিরোদের (পানিশার ছাড়া) আবার একসঙ্গে লড়াই করতে দেখা যায় ‘দ্য ডিফেন্ডার্স’-এ। এ ছাড়া ২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘ইনহিউম্যানস’ (এবিসি) ও ‘রানঅ্যাওয়েজ’ (হুলু), ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ‘ক্লোক অ্যান্ড ড্যাগার’ (ফ্রিফর্ম), ২০২০ সালে ‘হেলস্টর্ম’ (হুলু)।
এই টিভি সিরিজগুলোয় মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে যেভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তেমনি এমসিইউর অনেক চরিত্রকেও এসব সিরিজে দেখা যায়। কিন্তু এসব সিরিজের কোনো ঘটনা বা চরিত্রের কথা এমসিইউর মুভিগুলোয় দেখা যায় না। মার্ভেল স্টুডিওজের প্রেসিডেন্ট কেভিন ফাইগির মনে করেন, এই সিরিজগুলো যেহেতু মার্ভেল স্টুডিওজের বানানো নয়, সে জন্য এগুলোর ঘটনাপ্রবাহ এমসিইউর ‘স্যাকরেড টাইমলাইন’-এর অংশ নয়। এমসিইউতে যে মাল্টিভার্সকে দেখানো হচ্ছে এখন, এই সিরিজগুলোর ঘটনাগুলো এই মাল্টিভার্সের কোনো একটি ইউনিভার্সে ঘটেছে—এমনটা ধরে নেওয়া যায়। এ বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হওয়া ‘দ্য মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স: অ্যান অফিশিয়াল টাইমলাইন’ বইয়ে অনেকটা এমনই ইঙ্গিত করেছে কেভিন ফাইগি।