তা বাবা অনেক দিন আগের কথা, যখন আমিও তোমাদের মতো টগবগে কিশোর ছিলাম। দুরন্ত না হলেও তখনকার উদ্যমই ছিল অন্য রকম। প্রতিদিন বিকেল হলে ধুম পড়ে যেত খেলাধুলার। টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা ঝাঁপাঝাঁপি করে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও থামার আগ্রহ দেখাতাম না বন্ধুদের কেউই! কেবল সন্ধে হলেই বাড়ির অঘোষিত নিয়মে, নিতান্ত অনিচ্ছায়, খেলা থামিয়ে ফিরতে হতো ঘরে।
তারপর কতগুলো বছর কেটে গেল অস্থিতিশীল চলচ্চিত্রের মতো। বহু অনিচ্ছা সত্ত্বেও জীবন এগিয়ে চলল সময়ক্রমে। খেলার সাথিরা একে একে সরে পড়ল যে যার মতো। মাঠগুলো দখল করে নিল নতুন কিশোর-কিশোরীরা। নিয়মিত নির্জীব হতে হতে গণ্ডি আটকে গেল ঘরের চৌহদ্দিতে। আজকাল ঘুম থেকে উঠতে গেলে বুঝি, এ-ও বিরাট এক কাজ! শরীরের অগণিত ব্যথা আর অস্বস্তি মনে করিয়ে দেয়, মাঠে গিয়ে আধঘণ্টা ঝাঁপিয়ে বেড়ানোর ক্ষমতা আজ আর নেই। বাস ধরতে ছুটলে ফুসফুস বিরক্ত হয়, বসে থাকলে কোমর ব্যথা করে, দাঁড়িয়ে ঘণ্টাখানেক রাঁধলে হাঁটু করে আর্তনাদ! তাই বুঝে গেছি, সীমিত হয়ে বাঁচাটাই এখন নিয়ম। নিজেকে আর চঞ্চল হতে দিই না একপ্রকার জোর করেই।
প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার বয়স আর নেই কাফকার। মিনার সঙ্গে করা সেই বাল্য প্রতিশ্রুতি তার স্মৃতিকে নির্যাতন করে প্রায়ই; বিশেষ করে যখন মিনা কোনো সাফল্য অর্জন করে নিজেকে নিয়ে যায় উচ্চতার নতুন ধাপে।
তোমরা যারা এখন শৈশব-কৈশোর উপভোগে ব্যস্ত আছ, ওপরের কথাগুলো এখনই তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে না। এর জন্য সময় লাগবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে আমাদের সবাইকেই জীবনের এসব সত্য মেনে নিতে হয়। ঠিক যেভাবে মেনে নিয়েছিল আমাদের আজকের গল্পের নায়ক কাফকা হিবিনো।
শৈশবে তোমাদের মতোই আত্মপ্রত্যয়ী কিশোর ছিল কাফকা। পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা ওকে আন্দোলিত করত। ওদের জগতে দানবের আক্রমণ মোটামুটি নিয়মিত ঘটনা। তার জন্য পরিবার ও বন্ধু পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করত আচমকাই। কাফকা ওই কিশোর বয়সেই বান্ধবীর সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, একটা সময় দুজনই যোগ দেবে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে। দুজনে মিলে এসব দানব নিধন করে সমাজকে করে তুলবে নিরাপদে বসবাসযোগ্য।
তারপর কেটে যায় অনেকগুলো বছর। কিশোর কাকফা ধীরে ধীরে যৌবন ছাড়িয়ে চলে আসে মাঝবয়সে। কাফকার সেই বান্ধবী মিনা এখন প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্যতম সেরা যোদ্ধা। সবাই লড়াকু ক্ষমতার জন্য শ্রদ্ধা করে মিনাকে। কিন্তু কাফকা পারেনি বন্ধুর সঙ্গে তাল মেলাতে। বহুবার চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে সে। লক্ষ্য অর্জনের পথে বিরাট এক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার শারীরিক দুর্বলতা। ফলে কাফকা থমকে গেছে লক্ষ্যপথে। সে যোগ দিয়েছে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে। যখনই কোনো বিরাট দানব শহরে আঘাত হানে, প্রতিরক্ষা বাহিনী ঝাঁপায় সেটাকে নিধন করতে। তারপর সেই সব মৃত দানবের দেহাবশেষ পরিষ্কার করে কাফকার বাহিনী। কাজটা একেবারেই নিম্নস্তরের খাটুনি, কিন্তু এতেও অনেক ঝুঁকি আছে। কাফকা বর্তমানে একজন দক্ষ পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার বয়স আর নেই কাফকার। মিনার সঙ্গে করা সেই বাল্য প্রতিশ্রুতি তার স্মৃতিকে নির্যাতন করে প্রায়ই; বিশেষ করে যখন মিনা কোনো সাফল্য অর্জন করে নিজেকে নিয়ে যায় উচ্চতার নতুন ধাপে। নিয়তির সঙ্গে আপস করে কাফকা মন দেয় তার কাজে। ভাবে, যা আছে, তা–ই বেশ। রোজগার হচ্ছে, আছে নিরাপদ আশ্রয়, এর চেয়ে বেশি আর কী চাই?
একদিন কাফকার শহর পরিচ্ছন্নতা দলে যোগ দেয় নতুন এক যুবক। ছেলেটির নাম রেনো ইচিকাওয়া। নবীন ছেলেটির অদম্য আগ্রহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর অংশ হওয়ার। কাফকা হাল ছেড়ে দিয়েছে শুনে সে খুব বিরক্ত হয়ে দুকথা শুনিয়ে দেয় তাকে। মন খারাপ হলেও কাফকা সেসব বিশেষ গায়ে মাখে না। দায়িত্বশীল অগ্রজের মতো রেনোকে সে শেখায় পরিচ্ছন্নতার খুঁটিনাটি। ক্রমে ছেলেটি কাফকাকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করে তার স্নেহশীল স্বভাব আর কর্মদক্ষতার জন্য।
কাফকা আর রেনোর ভেতর একটা সমঝোতা গড়ে উঠছিল, এমন সময় ঘটল দুর্ঘটনা। ওরা একটি দানবের মৃতদেহ পরিষ্কারে ব্যস্ত, ঠিক তখন ওখানে আক্রমণ করল এক খুনে দানব। দানবগুলোকে ওরা বলে কাইজু। কাফকা চেষ্টা করল রেনোকে রক্ষা করতে, নিজে আহত হলেও রেনোকে পালানোর ব্যবস্থা করে দিল সে। তারপর শুরু করল নিজে বাঁচার লড়াই। কিন্তু দুর্বলতা তাকে রুখে দিল শিগগিরই। মৃতপ্রায় কাফকা কাইজুর খাবার হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে ফিরে এল রেনো। আর এর একটু পরই মিনা এসে পরাজিত করল দানবটাকে। ফলে সে যাত্রা বেঁচে গেল কাফকা আর রেনো।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে ভাবতে, কিছুটা রেনোর প্ররোচনা আর সাম্প্রতিক আক্রমণ বিবেচনায় রেখেই কাফকা সিদ্ধান্ত নিল, সে আরেকবার শেষ চেষ্টা করবে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার। কারণ, বাহিনীতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়িয়ে সম্প্রতি করা হয়েছে ৩২ বছর। কিন্তু কিছু করে ওঠার আগেই কাফকা দেখতে পেল, তার সামনে এক খুদে মূর্তিমান কাইজু উড়ছে বাতাসে। সে আর্তনাদ করার জন্য হাঁ করতেই ওটা ঢুকে গেল কাফকার পেটে। বিছানার পর্দা পেরিয়ে ছটফটানির শব্দ কানে যেতেই ওপাশে উঁকি দিল রেনো। দেখে, কাফকা রাতারতি বদলে গেছে কাইজুতে! কিন্তু বদলে গেলে কী হবে, সে মনমানসিকতায় এখনো আগের মতোই কাফকা, কেবল প্রবলভাবে শক্তি বেড়েছে শরীরে।
ভয় পেয়ে হাসপাতালের রোগীরা খবর দিল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। নতুন কাইজুর খোঁজ পেয়ে ছুটে এল প্রতিরক্ষা বাহিনীর সৈনিকেরা। আগুপিছু না শুনেই তাকে নিধন করবে নির্ঘাত। বেগতিক দেখে পালাল কাফকা আর রেনো। শুরু হয়ে গেল লুকোচুরি—কাফকা বনাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
মূলত এই লুকোচুরি চলে প্রথম সিজনের পুরোটা ধরেই। কাফকাকে তারা নাম দেয় কাইজু নম্বর ৮। কারণ, তার প্রাথমিক শক্তিমত্তার যে ধারণা তাদের কাছে আসে, তাতে কাফকাকে একজন প্রবল শক্তিধর দানব হিসেবেই ধারণা হয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর। এর আগে এমন শক্তিধর যেসব কাইজু এসেছিল, তাদেরও এভাবে নম্বর দিয়ে মহাদানব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কাফকা প্রতিরক্ষা বাহিনীর চোখে ভয়ানক বিপদ হলেও মূলত সে তাদের বিপক্ষে নয়। বরং প্রয়োজনে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের বাঁচাতে, নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও!
লেখক নাওয়েয়া মাৎসুমোতোর এই চমৎকার গল্প মূলত শোওনেন (অর্থাৎ কিশোর উপযোগী) গল্প হলেও আর দশটা শোওনেন গল্পের সঙ্গে এর মূল তফাতটা হলো এর প্রধান চরিত্র কাফকা। অধিকাংশ শোওনেন গল্পেই দেখা যায় নায়ক স্কুলপড়ুয়া, তার একাধিক স্কুলের বন্ধু মিলেই তৈরি করে নিজের দল, লড়ে ভয়ানক সব বিপদের সঙ্গে। কিন্তু কাফকা একজন মাঝবয়সী লোক। সে এমন একজন মানুষ, যে জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে ছেড়ে দিয়েছে স্বপ্ন দেখা। যেমনটা আমরা অনেকেই একটা বয়সে পৌঁছে করি। আবার যাদের সঙ্গে সে দল বেঁধেছে, তারা প্রায় সবাই কাফকার তুলনায় বেশ নবীন। কিন্তু নিজের স্বভাব, প্রচেষ্টা, জ্ঞান আর সততার মাধ্যমে কাফকা হয়ে ওঠে তাদের কাছের মানুষ। কারও কারও জীবন বাঁচিয়ে, কাউকে লড়াইয়ে তথ্য দিয়ে সহয়তা করে, কারও কাছে অধ্যবসায়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সে হয়ে ওঠে প্রিয়পাত্র। প্রথম সিজনের শেষ পর্যন্ত যেতে যেতে তোমরা দেখতে পাবে সহকর্মীদের মন জয় করার এই অনন্য যাত্রা।
গল্পের বাকি চরিত্রগুলোও চমৎকার। যেমন রেনোর কথাই ধরা যাক! সে কাফকার মতো অতখানি নিবেদিতপ্রাণ না হলেও কর্মঠ। কাফকার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নানা সময় তাকে দেখা গেছে ঝুঁকি নিতে। আবার নিজেকে উন্নত করার দুর্দান্ত প্রচেষ্টাও রয়েছে তার। অনুশীলনের ফলে সে একটু একটু করে দক্ষতা অর্জন করে। অন্যদিকে কিকোরু শিনোমিয়া মেয়েটি চঞ্চল আর আত্মবিশ্বাসী হলেও তার মধ্যে রয়েছে কিছুটা শঙ্কা। বাবার কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে সে বদ্ধপরিকর। তবে কাজটা এত সহজ নয়। সরাসরি না দেখালেও সতীর্থদের জন্য তার চিন্তা হয়, সে চেষ্টা করে সবাইকে রক্ষা করতে। কিন্তু কাউকে সেটা বুঝতে দিতে চায় না।
এ ছাড়া নেতৃত্বের অবস্থানে মিনা ও তার সহকারী হোশিনা সোওউশিরো সপ্রতিভ। যেকোনো বিগড়ে যাওয়া লড়াই পরিস্থিতিতেই তাদেরই ভরসা মানা হয়। মিনা তো রীতিমতো একটা বাঘ সঙ্গে নিয়ে ঘোরে! পুরো গল্পেই কাফকাকে সেই অতীতের প্রতিজ্ঞা স্মরণ করে মিনার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করার কথা চিন্তা করতে দেখা যায়। তবে বাঘটা তাকে মিনার কাছে ঘেঁষতে দেবে কি না, তাতে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে!
কাইজু নম্বর ৮ অ্যানিমেটির শত্রুদের প্রাথমিকভাবে কেবল শক্তিনির্ভর দানব মনে হলেও তা বদলে গেছে সময়ের সঙ্গে। এসেছে ধুরন্ধর কাইজুরা, মিশে গেছে মানুষের দঙ্গলে অনায়াসে। ফলে আগামী দিনে আরও ভয়ানক লড়াই অপেক্ষা করছে, তা বলাই বাহুল্য।
সিরিজটির মাত্র একটা সিজন মুক্তি পেয়েছে। অ্যানিমেটি নির্মাণ করেছে প্রোডাকশন আই জি। অনেক বিশিষ্ট অ্যানিমে নির্মাতা উঠে এসেছেন তাদের কল্যাণে। তোমরা হয়তো এসব নির্মাতার তৈরি গোস্ট ইন দ্য শেল, কুরোকো নো বাস্কে, হাইকিউ, ব্লাড প্লাস ইত্যাদি অ্যানিমে দেখে থাকবে।
এই অ্যানিমের আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে এর অ্যাকশন দৃশ্যগুলো। জাপানি নির্মাতারা এমনিতেই অ্যাকশনের দিকনির্দেশনায় সিদ্ধহস্ত। যে কারণেই বিভিন্ন হলিউড চলচ্চিত্রে তাঁদের পাকড়াও করে নিয়ে যাওয়া হয় কিংবদন্তি সব ফাইটিং দৃশ্যের নির্দেশনা দিতে। তবে বাজেট কম হলে দেখা যায়, অনেক অ্যানিমে এসব দৃশ্যায়নে পিছিয়ে পড়ে। এই গল্পের মাঙ্গাটা আমার আগে পড়া না থাকায় অ্যাকশন সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিল না। সিরিজের প্রাথমিক টিজারও বড় একটা উদ্বুদ্ধ করেনি। কিন্তু সিরিজ দেখা শুরু করে চমকে গেছি। বিরাট পরিসরে দানবীয় লড়াইয়ের দৃশ্যগুলোর অনবদ্য চিত্রায়ণ এতে হয়েছে। যেসব প্রেক্ষাপটে কাফকা দানবগুলোর সঙ্গে মুষ্টিযুদ্ধ করেছে, সেগুলো ছিল দেখার মতো। আবার মানুষের সঙ্গে দানবের লড়াইয়ের দৃশ্যগুলোও একেবারে হেলাফেলা নয়। সেখানে গতি ও প্রগতির অদ্ভুত সমন্বয় টান টান উত্তেজনা ধরে রাখে চমৎকার মুহূর্তগুলোতে। সিরিজের একেবারে শেষ দিকে একটি মহাদানবীয় লড়াইয়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ওতে শেষ পর্যন্ত কে জিতবে, তা দেখার সময় বাজি ধরে বলা সম্ভব হয়নি।
কিছু গান অবধারিতভাবে রয়েছে এই অ্যানিমেতে। সেগুলো আমার খুব ভালো লেগেছে, তেমন দাবি করব না। বরং শুরুর গানটির সঙ্গে তৈরি ইফেক্ট অ্যানিমেশনটার কথা বলা যায়। সেখানে চরিত্রগুলোর অঙ্গভঙ্গি না দেখিয়ে বিভিন্ন ইফেক্টের ভেতর দিয়ে একধরনের আবেশ আনার চেষ্টা করেছে, যা আমার গতানুগতিক মনে হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন লড়াইয়ের সময় ব্যবহৃত শব্দকৌশল একেবারে যথার্থ। প্রায়ই লড়াইয়ের উত্তেজনা বোঝাতে টেকনো বা মেকানিক্যাল মিউজিকের প্রয়োগ লক্ষণীয়, যা দৃশ্যগুলোর সঙ্গে খাপ খেয়েছে ভালোই।
একেবারে গুছিয়ে বলতে গেলে তোমরা যারা একটু বাড়ন্ত কিশোর, তাদের জন্য এই অ্যানিমে হতে পারে একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। মূলত সিরিজটি ১৪ বছর বয়সী কিংবা এর ঊর্ধ্বের কিশোর-কিশোরীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি। এর কারণটা হচ্ছে এতে প্রচুর রক্তপাতের দৃশ্য রয়েছে। সেগুলো মোটামুটিভাবে দানবের রক্ত হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষকেও রক্তাক্ত হতে দেখা গেছে বৈকি! ফলে একেবারে নতুন যারা দেখতে চাইবে, তাদের সাবধান করে দেওয়া আমার কর্তব্য। যদিও জানি, তোমরা হয়তো এর চেয়েও অনেক গুরুগম্ভীর অ্যানিমে ইতিমধ্যেই দেখে বসে আছ! যুগ এগিয়ে যাচ্ছে, সুতরাং এটাই স্বাভাবিক! ওহ্, কাফকার পক্ষ হয়ে আরেকটু ওকালতি না করলেই নয়। কিছুটা বুড়িয়ে গেলেও রসিক মনটি কিন্তু সে হারায়নি। কাইজু নম্বর ৮ ধারাবাহিকের সবচেয়ে মজাদার চরিত্রটি খোদ কাফকা। ফলে অধিকাংশ সময়ই তোমরা সিরিজটি হাসিমুখে দেখতে পারবে, এ নিশ্চয়তা দিতে আমার বিশেষ অসুবিধা নেই।