ব্যাটল অব আর্থের পর অবসরে হাল্ক
হাল্ক | নাম: রবার্ট ব্রুস ব্যানার | অভিনেতা: এডওয়ার্ড নর্টন, মার্ক রাফেলো
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে নতুন করে শুরু হয় ‘সুপার সোলজার সিরাম’ তৈরির কার্যক্রম। জেনারেল রসের নির্দেশনায় সেই প্রজেক্টের নেতৃত্বে ছিল ডক্টর ব্রুস ব্যানার। পরীক্ষা চলাকালীন গামা রেডিয়েশন দুর্ঘটনার শিকার হয় ব্রুস। ডিএনএতে পরিবর্তনের কারণে সামান্য উত্তেজিত হলেই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য বিশালাকার এক সবুজ দানবে পরিণত হয় এই বিজ্ঞানী।
অ্যাভেঞ্জার্সের মধ্যে একমাত্র হাল্কের মাঝেই আছে দুটি আলাদা সত্তা। হাল্ক এবং ব্রুস ব্যানার—একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। হাল্কে পরিণত হলে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে সাতটি পিএইচডিধারী ব্রুস ব্যানার। যে কারণে অ্যাভেঞ্জার্সের সঙ্গে কাজ করতে নৈতিক দ্বিধায় ভুগতে শুরু করে সে। পৃথিবীকে নিজের ধ্বংসাত্মক সত্তা থেকে রক্ষা করার জন্য কুইনজেটে করে পৃথিবী ত্যাগ করে হাল্ক। সেখানে গ্ল্যাডিয়েটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে হাল্ক। থরের সঙ্গে থানোসের মুখোমুখি হয় হাল্ক। থানোসের হাতে পরাজিত হওয়ার পর থেকে হাল্ক–সত্তাটি একপ্রকার চলে যায় ব্রুস ব্যানারের কাছ থেকে। প্রায় পাঁচ বছর নিজের ওপর পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়ে স্মার্ট-হাল্কে পরিণত হয় ব্রুস। শরীর হাল্কের মতো হলেও বুদ্ধি ছিল ব্রুস ব্যানারের মতো। ব্যাটল অব আর্থের পর অবসরেই চলে যায় হাল্ক। এক দুর্ঘটনায় ব্যানারের গামা রেডিয়েশনযুক্ত রক্ত প্রবেশ করে কাজিন জেনিফারের শরীরে। ফলে আইনজীবী জেনিফার ওয়াল্টার্স হয়ে ওঠে শি-হাল্ক। সাকার গ্রহে ফিরে গিয়ে নিজের সন্তান স্কারকেও খুঁজে পায় ব্রুস ব্যানার।