বিটিএস সদস্যরা কতটা শিক্ষিত

নিঃসন্দেহে বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএস। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ব্যান্ডের সদস্য সাতজন, যাঁরা অসাধারণ গানের গলা, নিখুঁত নাচের মুদ্রা আর স্মার্টনেস দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন সারা বিশ্ব। বিটিএসের সদস্যরা যে শুধু নাচ-গানেই পারদর্শী তা নয়, পড়াশোনাতেও তাঁরা রেখেছেন মেধা ও নিষ্ঠার স্বাক্ষর। মেধাবী আর পরিশ্রমী এই সংগীতশিল্পীরা কে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন? চলো, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

হালের জনপ্রিয় পপ ব্যান্ড বিটিএসফাইল ছবি: রয়টার্স

জিন

জিন
ছবি: বিলবোর্ড

বিটিএসে যোগ দেওয়ার আগে ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড হ্যান্ডসাম’ নামে পরিচিত কিম সেওক জিন চেয়েছিলেন অভিনেতা হতে। জিন পড়াশোনাও করেছেন চলচ্চিত্র নিয়ে। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার কুনকুক ইউনিভার্সিটি থেকে ফিল্ম স্টাডিজে স্নাতক সম্পন্ন করেন জিন। পরবর্তীকালে উচ্চশিক্ষার জন্য হানইয়াং সাইবার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন জিন।

জে-হোপ

জে হোপ
রোলিং স্টোন

জে-হোপের প্রকৃত নাম জাং হো-সেওক। তিনি ২০১৯ সালে হানইয়াং সাইবার ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে এমবিএতে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে তিনি গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

আরও পড়ুন

আরএম

আরএম
ছবি: ইউনিসেফ

বিটিএসের দলনেতা, ভক্তদের প্রিয় ‘লিডার’ আরএম। তাঁর প্রকৃত নাম কিম নামজুন। ইংরেজিতে দক্ষতার জন্য দলের মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করেন তিনি। আরএমের আইকিউ ১৪৮। ছোটবেলা থেকেই নামজুন পড়াশোনায় খুব ভালো। নামজুনের কৃতিত্বপূর্ণ ফলের কারণেই তাঁর মা-বাবা চাইতেন, ছেলে গানবাজনায় সময় কম দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হোক। মেধাবী ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ভালো বেতনে চাকরি করুক, এটাই ছিল তাঁদের চাওয়া। নামজুন তখন মাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কী চাও—তোমার ছেলে ৫০০০তম ভালো ছাত্র হোক নাকি নাম্বার ওয়ান র৵াপার হোক?’ পৃথিবীর সবচেয়ে নাম করা র‌্যাপারদের একজন হয়েও নামজুন কিন্তু পড়াশোনা ছাড়েননি। ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপর হানইয়াং সাইবার ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডভারটাইজমেন্ট অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে এমবিএতে ভর্তি হন।

আরও পড়ুন

জাংকুক

জাংকুক
ছবি: বিগহিট মিউজিক

জিওন জাংকুক বিটিএস দলের ‘গোল্ডেন ম্যাকনে’ (কে-পপ ব্যান্ডগুলোর সর্বকনিষ্ঠ সদস্যদের ‘ম্যাকনে’ ডাকা হয়।) ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের থিম সং ‘ড্রিমার্স’ গেয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান জাংকুক। যে শ্রোতারা আগে বিটিএস বা জাংকুকের গান শুনতেন না, তাঁদেরও মন জয় করে নিয়েছে ‘ড্রিমার্স’। দলের সবচেয়ে ‘পিচ্চি’ এই সদস্য পড়াশোনায়ও বেশ ভালো। সিউল স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস থেকে ২০১৭ সালে পাস করেন জাংকুক। ২০২২ সালে গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘প্রেসিডেন্ট’স অ্যাওয়ার্ড’ পদক পান তিনি।

আরও পড়ুন

সুগা

সুগা
ছবি: বিগ হিট মিউজিক

সুগার প্রকৃত নাম মিন ইয়ুংগি। ইয়ুংগির ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে। তাঁর মা–বাবা চাইতেন, ছেলে মন দিয়ে পড়াশোনা করুক। বড় হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিক। গানবাজনাকে তাঁর পরিবারে বিলাসিতা মনে করা হতো। কিন্তু ইয়ুংগি সব সময় চাইতেন শিল্পী হতে। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে মা–বাবার স্বপ্নও কিন্তু একেবারে ভুলে যাননি তিনি। পড়াশোনা করেছেন অ্যাপগুজিয়ং হাইস্কুলে। স্কুলের পাট চুকিয়ে তিনি ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তারপর হানইয়াং সাইবার ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডভারটাইজমেন্ট অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে এমবিএতে ভর্তি হয়েছেন।

আরও পড়ুন

জিমিন

জিমিন

অনেক ভক্তের মতে, বিটিএস সদস্যদের মধ্যে নৃত্যে সবচেয়ে বেশি পারদর্শী পার্ক জিমিন। বিটিএসে ট্রেইনি হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে জিমিন বুসান হাইস্কুলের ‘মডার্ন ড্যান্স’ বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তিনি ছিলেন সেখানকার সেরা ছাত্রদের একজন। বিটিএসে সুযোগ পাওয়ার পর তিনি স্কুল পরিবর্তন করেন। ২০১৪ সালে কোরিয়ান আর্টস হাইস্কুল থেকে পাস করেন জিমিন।

২০২০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। তারপর ২০২১ সালে হানইয়াং সাইবার ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে এমবিএতে ভর্তি হন।

ভি

বিটিএস তারকা ভি
ছবি : ইনস্টাগ্রাম

‘ভি’র প্রকৃত নাম কিম তাইহ্যুং। তাইহ্যুং ২০১৪ সালে কোরিয়ান আর্টস হাইস্কুল থেকে পাস করেন। ২০২০ সালে গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। তারপর ২০২১ সালে হানইয়াং সাইবার ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে এমবিএতে ভর্তি হন।

আরও পড়ুন