অপহরণের পর যেভাবে বদলে গেল টনি স্টার্ক
আয়রন ম্যান | নাম: অ্যান্থনি এডওয়ার্ড স্টার্ক | অভিনেতা: রবার্ট ডাউনি জুনিয়র
প্রকৌশলী ও শিল্ডের সহপ্রতিষ্ঠাতা হাওয়ার্ড স্টার্কের একমাত্র সন্তান টনি স্টার্ক। বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর পর পুরো স্টার্ক ইন্ডাস্ট্রিজের দায়িত্ব এসে পড়ে টনির কাঁধে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহদাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে স্টার্ক ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে এক দুর্ঘটনায় বদলে যায় সব। আফগানিস্তানে নতুন মিসাইল পরীক্ষা করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয় টনি। টনির ব্যবসা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন টেন রিংসের সঙ্গে মিলে তাকে অপহরণ করে বিজনেস পার্টনার ওবাদায়াহ স্টেইন। জীবন বাঁচাতে আফগানিস্তানের এক গুহায় টনি স্টার্ক তৈরি করে আর্ক রিঅ্যাক্টর। বানায় লোহার এক অত্যাধুনিক স্যুট। প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা মেলে আয়রন ম্যানের! অস্ত্র তৈরি ও বিক্রি বন্ধ করে আর্ক রিঅ্যাক্টর প্রযুক্তিতে মন দেয় টনি স্টার্ক।
নিক ফিউরির প্রস্তাবে অ্যাভেঞ্জার্সে যোগ দিতে রাজি হয় আয়রন ম্যান। পৃথিবীকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ডক্টর ব্রুস ব্যানারের সঙ্গে মিলে স্টার্ক তৈরি করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আল্ট্রন। কিন্তু পৃথিবীকে রক্ষার বদলে উল্টো আক্রমণ করে বসে আলট্রন বাহিনী।
আল্ট্রনের আগ্রাসন চোখ খুলে দেয় বিশ্বনেতাদের। সুপারহিরোদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৈরি করা হয় ‘সোকোভিয়া অ্যাকর্ডস’। যার পক্ষে অবস্থান নেয় টনি স্টার্ক। এ নিয়ে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় অ্যাভেঞ্জার্স। একপর্যায়ে পৃথিবীকে আক্রমণ করে থানোস বাহিনী। থানোসকে থামাতে নিজের জীবন বাজি রাখে আয়রন ম্যান। ‘ব্যাটল অব আর্থ’-এ থানোসের হাত থেকে ইউনিভার্সকে রক্ষা করে নিজের জীবনের বিনিময়ে।