আসছে ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’
মাস তিনেক আগের কথা মনে আছে? বিদ্যুৎ নিয়ে চারদিক ছিল সরগরম। কয়েক দিন পর পর প্রকাশিত হতো লোডশেডিংয়ের রুটিন। অবশ্য আমাদের অনেকের পড়ালেখার রুটিনের মতো বিদ্যুৎও তা মেনে চলেনি। বিদায় নিত যখন তখন। এমন পরিস্থিতিতে ১৫ বছর বয়সী রায়ান ছিল বিকল্পের খোঁজে। সন্ধান একদিন পেয়েও যায়। ইন্টারনেটের কল্যাণে সে জানতে পারে নতুন এক প্রজাতির শামুকের কথা। সুন্দরবনের গহিন অঞ্চলে তাদের বাস। গবেষকদের মতে, সেই শামুকদের খোলসে রয়েছে দুর্লভ ইউরেনিয়াম। আচমকা রায়ানের মনে পড়ে, একটুখানি ইউরেনিয়াম ভেঙে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা কঠিন কিছু নয়। তার বিশ্বাস, রাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দাঁড় করানো সম্ভব। আর তাতে রসদ জোগাতে পারে সেই আশ্চর্য প্রজাতির শামুক। ফলে সংকট কেটে যাবে সহজেই।
সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে না রায়ান। বেরিয়ে পড়ে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। দুর্দান্ত অভিযানে সঙ্গী হয় ওর ছয় বন্ধু। কিন্তু পথে দেখা দেয় একের পর এক বাধাবিপত্তি। সেসব পাড়ি দিতে কখনো সাহস, কখনো গাণিতিক বুদ্ধিমত্তায় ভর করে ওরা। শেষমেশ রায়ানেরা সফল হয় কি? দেখা পায় সেই শামুকের? নাকি, ইউরেনিয়াম থেকে যায় নাগালের বাইরে?
সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে সেদিন মুক্তি পাবে ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ চলচ্চিত্রটি। সংশ্লিষ্টদের মতে, রহস্য-রোমাঞ্চের পাশাপাশি বয়ঃসন্ধির স্বাস্থ্যসচেতনতা ও মনোদৈহিক নানা প্রশ্নেরও সমাধান মিলবে এ সিনেমায়।
২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনা ও পরিচালনা করেছেন আউয়াল রেজা। চলচ্চিত্রে সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ফুয়াদ নাসের বাবু ও গানে কণ্ঠ দিয়েছে এলিটা করিমসহ আরও অনেকে। প্রাণ রায়, মাজনুন মিজান, নাজনীন হাসান চুমকীর মতো পরিচিত কলাকুশলীরা তো বটেই; অভিনয়ে আছে শিল্পী টইটই হিলালী, অর্নিমা তাবাসসুম, রাফিদ স্মরণ, কিংবদন্তি চৌধুরী, নাফিস জাবীর, আনোয়ারুল রাজিত ও জহুরাতুল তায়েবার মতো নতুন মুখেরা।
‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ চলচ্চিত্রের প্রচারণা সহযোগী কিশোর আলো।