১৮ মে শনিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত হবে এ মাসের সাধারণ সভা। এই সভায় অংশ নিতে তোমাকে পূরণ করতে হবে নিচের ফরমটি। ফরম পূরণের আগের অবশ্যই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার নিয়মগুলো পড়ে নিতে হবে। সভায় অংশগ্রহণের জন্য তুমি নির্বাচিত হলে সভার দুদিন আগে (বৃহস্পতিবার) থেকে সভার দিন (শনিবার) সকালের মধ্যে যেকোনো সময় তুমি একটি এসএমএস পাবে। শুধু নির্বাচিতরাই সভায় অংশ নিতে পারবে। কিশোর আলোর মে সংখ্যা ছাড়া সভাকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না। অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে।
মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার নিয়ম জেনে নাও
১. যারা আগে কিআর মিটিংয়ে অংশ নিয়েছ কিংবা নাওনি, তারা সবাই অবশ্যই নিচের ফরমটি পূরণ করবে। এই ফরমের তথ্যগুলো শুধু এবারের মিটিংয়ে আসার জন্য তোমার রেজিস্ট্রেশন হিসেবে গণ্য হবে। মিটিং কক্ষে ঢোকার আগে এই ফরম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তোমার নাম ভলান্টিয়ারদের কাছে দেওয়া থাকবে। নামের পাশে স্বাক্ষর করে কক্ষে ঢুকতে হবে।
২. মিটিংয়ে মানিব্যাগ ও পার্স ব্যাতীত কোনো প্রকার ব্যাগ আনা যাবে না।
৩. ২.৪৫ মিনিটের মধ্যে সবাই উপস্থিত থাকবে, ৩টায় মিটিং শুরু হবে। বিকাল ৩.৩০ মিনিটের পর কোনো অবস্থাতেই কিআ মনোনীত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে সভাকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
৪. মিটিংয়ে মোবাইল ফোন ব্যাতীত কোনো ডিএসএলআর, এসএলআর, হ্যান্ডিক্যাম কিংবা অন্য কোনো ক্যামেরা আনা যাবে না।
৫. কিশোর আলোর মিটিংয়ে প্রবেশ করার টিকেট হলো নিজের একটি মৌলিক লেখা বা আঁকা, যা মনোনীত হলে পরবর্তী কোনো সংখ্যায় ছাপা হতে পারে। লেখা বা আঁকা ভালো হোক, মন্দ হোক, সবসময় নিজেকেই লিখতে হবে। প্রতিটি লেখা ও আঁকা চেক করে অংশগ্রহণকারীদের মিটিং রুমে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। সুতরাং বাংলা বা জীববিজ্ঞান বই থেকে কোনো অংশ টুকে বা এঁকে নিজের নামে চালিয়ে কিংবা সাদা কাগজ জমা দিয়ে মিটিংয়ে অংশ নেওয়া যাবে না! লেখা বা আঁকার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, শ্রেণি ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
৬. কিশোর আলোর মে সংখ্যা ছাড়া সভাকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না। সবাইকে কিশোর আলোর মে সংখ্যাটা পড়ে আসতে হবে। মিটিংয়ে কিআ বিষয়ক আলোচনা হবে এবং সংখ্যাটি পড়া থাকলে তুমিও আলোচনায় অংশ নিতে পারবে।
৭. মিটিংটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সবাইকে আন্তরিক সহযোগিতা করতে হবে। মিটিং চলাকালে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যা বক্তা বা অন্য অংশগ্রহণকারীদের অসুবিধার কারণ হয়। মিটিংয়ে তোমার আচরণ ও কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য না হলে তুমি পরবর্তী মিটিংগুলোতে নিষিদ্ধ হতে পারো।
৮. যারা লেখালেখির বাইরেও অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিআর সঙ্গে জড়িত থাকতে চাও, তারা নিজের আগ্রহের বিষয়ের ওপর মিটিংয়ে পারফর্ম করতে পারবে। যেমন, গান, আবৃত্তি, অভিনয়, বাদ্যযন্ত্র বাজানো ইত্যাদি।
৯. মিটিংয়ে অংশ নিতে ও কিশোর আলোতে কাজ করতে হলে অবশ্যই সে ব্যাপারে অভিভাবককে জানিয়ে আসতে হবে। কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় তোমার অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। যারা একা চলাফেরা করে অভ্যস্ত না, তারা অভিভাবক সঙ্গে আনতে পারো। তবে মনে রাখবে, কিআড্ডার আসন সীমিত হওয়ায় সেখানে শুধু তুমিই অংশ নিতে পারবে, অভিভাবকের বসার বা অপেক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।
১০. কিশোর আলো মনোনীত ব্যক্তি ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবে না।
১১. মিটিংয়ের জন্য নির্ধারিত ভবনের নিচতলায় এসে ফ্রন্ট ডেস্কে তোমার নাম এন্ট্রি করবে। ১০ম তলায় এসে কিশোর আলোর ভলান্টিয়ারদের কাছে থাকা তোমার নামের পাশে স্বাক্ষর করে সঙ্গে আনা লেখা/আঁকা জমা দিয়ে তারপর মিটিং রুমে প্রবেশ করবে।
১২. মিটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য তুমি নির্বাচিত হলে ইমেইল বা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
১৩. একজন একবারই ফরম পূরণ করবে। একাধিকবার ফরম পূরণ করলে নিবন্ধন বাতিল বলে গণ্য হতে পারে।
১৪. মনে রাখবে, কিআড্ডার আসন সংখ্যা সীমিত, তুমি না এলে তোমার জায়গায় আরেকজন সুযোগ পেতে পারে। তাই তুমি নির্ধারিত দিনে মিটিংয়ে অংশ নেবেই, এমনটা নিশ্চিত হলেই কেবল ফরম পূরণ করো। নিবন্ধন করে নির্বাচিত হওয়ার পরও কেউ নির্ধারিত দিনে মিটিংয়ে না এলে পরবর্তী মিটিংগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য তাকে বিবেচনা নাও করা হতে পারে।
মিটিং হবে: ১৮ মে, শনিবার ৩টায়।
মিটিং কোথায় হবে: প্রগতি ভবন (১০ম তলা, লিফটের ১০), ২০-২১, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
ফরম পূরণের পর অংশগ্রহণের ইমেইল বা এসএমএস পেলে সব নিয়ম মেনে চলে এসো এবারের মিটিংয়ে। আড্ডা-গানে দারুণ সময় কাটবে!