এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লিখল আনিসুল হকের গুড্ডুবুড়ার গল্প

গুড্ডুবুড়া

তোমরা কি এআই সম্পর্কে জানো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যন্ত্র এখন বুদ্ধিমান। চিন্তা করে কাজ করতে পারে। ছবি আঁকতে পারে, গল্প লিখতে পারে, গান লিখে দিতে পারে, সুর দিয়ে গাইতে পারে।

আমাদের অনেকেরই মোবাইল ফোনে এখন চ্যাটজিপিটি নামের অ্যাপ আছে। তাকে বললেই সে একমুহূর্তে কাজ করে দেয়।

আমার মোবাইল ফোনের চ্যাটজিপিটিকে আমি বললাম, গুড্ডুবুড়ার বয়স আট বছর। সে আনিসুল হকের একটা চরিত্র। খায় না বলে সে প্রথমে থাকে বোকা। তখন বোকার মতো কাজ করে। পরে সে খেতে শুরু করে। বুদ্ধিমান হয়। তখন সে বুদ্ধিমানের মতো কাজ করে। সবাই তখন তার প্রশংসা করে। এই রকম একটা গল্প লিখে দিন ৩০০/৪০০ শব্দে।

এআই সঙ্গে সঙ্গে নিচের গল্পটা লিখে দিল। কেমন হয়েছে পড়ে বলো। আমার কাছে কেমন লেগেছে, গল্পের শেষে বলছি-

গুড্ডুবুড়া

রচয়িতা এআই (চ্যাটজিপিটি)

গুড্ডুবুড়ার বয়স আট বছর। মজার ব্যাপার হলো, সে খেতে একদমই পছন্দ করে না! মা যতই খাবার দেন, সে এদিক-সেদিক করে খাবার ফেলে দেয়। ফলে সে দুর্বল ও শুকনো, আর মাথায়ও যেন তেমন কোনো বুদ্ধি নেই। তার সহপাঠীরা তাকে মজা করে ‘বোকার গুড্ডুবুড়া’ বলে ডাকে। একদিন স্কুলে শিক্ষক একটি সহজ প্রশ্ন করলেন, ‘বল তো, সূর্য কখন ওঠে?’ গুড্ডুবুড়া একটু ভেবে বলল, ‘স্যার, যখন আমি ঘুম থেকে উঠি, তখন সূর্য ওঠে!’ কথাটা শুনে সবাই হো হো করে হাসল। স্যার হাসি চাপতে চাপতে বললেন, ‘গুড্ডুবুড়া, সূর্য তোমার ঘুমের উপর নির্ভর করে না!’ আরেক দিন ক্লাসে গুড্ডুবুড়া ঘোষণা দিল, ‘আমি ইঁদুরের মতো দ্রুত দৌড়াতে পারি।’ বন্ধুদের একজন বলল, ‘তাহলে দৌড়ে দেখাও।’ গুড্ডুবুড়া দৌড় শুরু করল, কিন্তু হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল। বন্ধুরা হেসে বলল, ‘তুই তো ইঁদুরের মতো না; বরং কচ্ছপের মতো ধীরে দৌড়াস!’

এসব ঘটনার পর গুড্ডুবুড়া বুঝতে পারল, তার শরীর দুর্বল ও বুদ্ধিও কম। একদিন সে মাকে বলল, ‘মা, আমি কী করলে শক্তিশালী আর বুদ্ধিমান হব?’ মা হেসে বললেন, ‘বাবা, নিয়মিত খেলে তোমার শরীর ও মাথা দুটোই শক্তিশালী হবে। খাওয়াদাওয়া না করলে, তুমি দুর্বল আর বোকা হয়ে থাকবে।’

মায়ের কথা শুনে গুড্ডুবুড়া ঠিক করল, এবার থেকে নিয়মিত খাবে। প্রতিদিনের খাবার খাওয়া শুরু করল সে, আর কিছুদিনের মধ্যেই তার শরীরেও পরিবর্তন আসতে লাগল। তার মস্তিষ্কও যেন ঝকঝক করছে। এখন ক্লাসে স্যার প্রশ্ন করলে, সে দ্রুত উত্তর দিতে পারে। একদিন স্কুলে স্যার সবাইকে একটা ধাঁধা দিলেন, ‘জীবের কোনটি আগে হাঁটে, পরে দৌড়ায়?’ গুড্ডুবুড়া তৎক্ষণাৎ উত্তর দিল, ‘শিশু!’ স্যার খুশি হয়ে বললেন, ‘গুড্ডুবুড়া, তুমি সত্যিই অনেক বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছো!’ বন্ধুরা অবাক হয়ে বলল, ‘আরে, তুই তো একেবারে বুদ্ধির গুড্ডুবুড়া হয়ে গেছিস!’ গুড্ডুবুড়ার এই পরিবর্তন দেখে সবাই তাকে প্রশংসা করতে লাগল। সে বুঝতে পারল, খাবার না খেলে শরীর দুর্বল আর বুদ্ধিও কমে যায়। তাই নিয়মিত খাওয়ার গুরুত্ব সে ভালোভাবেই শিখল।

(গল্প শেষ)

আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমার মনে হয়েছে, আমি এর চেয়ে ভালো লিখি।

তা-ই হওয়ার কথা। কারণ, মানুষের ব্রেনের সমান কম্পিউটার বানাতে হলে একটা স্কুল ভবনের চেয়েও বড় কম্পিউটার বানাতে হবে।