কিআর জন্মদিনে নানা আয়োজন

কিশোর আলো হাতে কিআড্ডায় পাঠকেরাছবি: আব্দুল ইলা

জন্মদিনে আজ ঢাকার কারওয়ান বাজারে কিশোর আলোর কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে ঘরোয়া একটি অনুষ্ঠান।

এই আয়োজনে থাকছেন আমন্ত্রিত গুণীজন, লেখক, স্বেচ্ছাসেবক ও নিবন্ধিত পাঠকেরা। কেক কেটে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।

এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান—‘আকাশের মতো বাধাহীন’। শিশু-কিশোরেরা সব বাধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে। আর তাদের পাশে থাকবে কিশোর আলো

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর প্রকাশিত হয় কিশোর আলো বা কিআ। এর আগে দুই নববর্ষে ‘কিশোর’ নামে দুটি সংখ্যা বেরিয়েছিল। বর্তমান কিআর ভিত্তি ছিল সে দুটি।

১১ বছর ধরে ছুটে চলা এই ম্যাগাজিনের সঙ্গে বেড়ে উঠেছে বাংলাদেশের অসংখ্য শিশু-কিশোর-তরুণ।

কিআর স্বেচ্ছাসেবকেরা ছড়িয়ে আছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কেউ এখন জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট, কেউ লেখক। সংগঠক, গবেষক, শিল্পী, ফিল্মমেকার, ফটোগ্রাফার—এমন নানা পেশায় নিয়োজিত তাঁরা। বিদেশে গিয়েও কিশোর আলো ছাড়তে পারেনি স্বেচ্ছাসেবক সরদার আকিব লতিফ, গোলাম মমীত কিংবা ফাহমিদা আলম। কিআর সব আয়োজনে রয়েছে তাদের অংশগ্রহণ। বিশ্বের নানা জায়গায় ছড়িয়ে থাকা কিআপ্রেমীদের দেখে মনে হয়, যথার্থই হয়েছে কিআর স্লোগান—আমার পৃথিবী অনেক বড়।

আরও পড়ুন

কিআর এই লম্বা ইনিংসের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান পাঠকদের। ভালোবাসা আর বকা দিয়ে তারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কিআকে। ‘এটা কী গল্প ছাপিয়েছ?’, ‘প্রচ্ছদ পছন্দ হয় নাই’, ‘এত ভুল কেন?’—এ রকম অসংখ্য চিঠি আর দাবি কিআর শক্তি।

অবদান আছে অভিভাবক-শিক্ষকদেরও। তাঁরা বাচ্চাদের হাতে কিআ তুলে দেন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ লেখক, ছড়াকার, শিল্পীদের। তাঁদের অবদানে বর্ণিল হয়ে ওঠে কিআর পাতা। যদিও কিআপ্রেমীরা বলে, ‘কিআ, বিজ্ঞাপন কম করো পিও।’ কিন্তু আমরা জানি বিজ্ঞাপনদাতারা পাশে না থাকলে কিআ বের করা কতটা কঠিন হতো। ধন্যবাদ বিজ্ঞাপনদাতাদের।সবার প্রচেষ্টায় এগোচ্ছে কিআ। এগোবে আরও অনেক দূর।