মাকে বোলো, ডিম সেদ্ধ করার পানি যেন ফেলে না দেন

ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম নির্গত হয়প্রথম আলো/এআই জেনারেটেড

ডিম সেদ্ধ করার পর সেই পানি ফেলে তো সবাই দেয়। আজই তুমি তোমার মাকে গিয়ে বোলো, ‘মা, ডিম সেদ্ধ করা হয়ে গেলে সেই পানি ফেলবে না।’

মা বলবেন, ‘সে কী কথা? ওই পানি দিয়ে তুই কী করবি? খাবি?’

আমাদের মায়েরা তো কত কথাই বলেন। যেমন আগেকার দিনের মায়েদের একটা প্রিয় কথা ছিল সন্তানদের উদ্দেশে, ‘পা ধোয়া পানি খা।’ পাড়ার বা ক্লাসের বা পরিবারের কোনো ভালো ছেলে বা মেয়েকে দেখিয়ে বলতেন, ‘অমুকের পা ধোয়া পানি খা।’

সে তুলনায় ডিম সেদ্ধ করার পানি খাওয়া কম কষ্টের হতে পারে। যদিও তোমরা যারা হাঁস কিংবা মুরগির ডিম নাড়াচাড়া করেছ, তারা জানো, ডিমে অনেক সময় মুরগির বিষ্ঠা বা অন্য ধরনের ময়লা লেগে থাকে।

তাহলে হঠাৎ ডিম সেদ্ধ করার পর সেই পানি দিয়ে তুমি কী করবে?

টিপস অ্যান্ড ট্রিকস নামের একটা ওয়েবসাইট বলছে, ডিম সেদ্ধ করার পরের পানিটা ফেলে না দিয়ে তা ঠান্ডা হওয়ার পর দেওয়া যেতে পারে গাছের গোড়ায়।

কারণ, ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম নির্গত হয়। এই ক্যালসিয়াম গাছের জন্য খুবই উপকারী।

মাটির পিএইচ লেভেল ভারসাম্যপূর্ণ করার জন্য ক্যালসিয়াম কাজে লাগে। তাতে মাটির উপকারী মাইক্রোনিউট্রেন্টগুলো কার্যকর হয়ে ওঠে।

আর এতে পানির অপচয়ও কমে আসে।

কাজেই এরপর থেকে ডিম সেদ্ধ করার পর পানি আর সিংকে ফেলে দিয়ো না।

আনারসের খোসাও ফেলে দিয়ো না।

আনারস আমাদের অনেকেরই প্রিয় ফল। এত সুস্বাদু, সুগন্ধময়, মিষ্টি, একটু একটু টক, আঁশযুক্ত ফল তো কমই পাওয়া যায়। আর সে তুলনায় দাম কিন্তু খুব বেশি নয়।

আনারস তো খাবেই। আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে বিষ হয়, এমন কোনো প্রমাণ কোথাও পাওয়া যায়নি। কারও কারও অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়তো হতে পারে। সে প্রসঙ্গ আরেক দিন।

এখন বলো, আনারসের খোসা দিয়ে কী হবে?

আনারসের খোসা তুমি বাগানের মাটিতে দিতে পারো সার হিসেবে। সাংঘাতিক ভালো সার হিসেবে কাজ করবে আনারস। পচে গিয়ে বাগানের গাছকে পুষ্টি দেবে, শুধু তা–ই নয়, কীটপতঙ্গকেও গাছের কাছ থেকে দূরে রাখবে।