ঢাকার আলোকিতে চলছে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির আয়োজন নগদ কিআ কার্নিভ্যাল। দিনের শুরুতেই জমে ওঠে জমজমাট এই আয়োজন। উদ্বোধনের পর কিআ কর্মশালায় ছিল চলচ্চিত্রবিষয়ক কর্মশালা। কিশোর আলোর পাঠকদের জন্য কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ‘হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন।
সুমন তাঁর পরিচালক হয়ে ওঠার গল্পে বলেন, ‘আমি খুঁজতে খুঁজতে আর কিছু না পেয়ে নির্মাতা হয়েছি।’
চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে চাওয়া কিশোর-কিশোরীদের বলেন, সবসময় চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। নিজের গল্পও শোনালেন। যে গল্পে ছিল, গায়ক কবীর সুমনের থেকে প্রভাবিত হয়ে গানের ভুবনে প্রবেশ করেন। চারুকলায় পড়ার সুবাদে আঁকাআঁকি করেছেন, আছে কবিতা লেখার ঝোঁক, অ্যানিমেশন শেখাসহ অনেককিছুই।
একদিন এল ‘মাহেন্দ্রক্ষণ’। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে বেড়াতে গেলেন বান্দরবান। সঙ্গে নিয়ে গেলেন বন্ধুর হ্যান্ডিক্যাম। যাত্রার শুরু থেকে শেষ, সবটাই করলেন ক্যামেরায় বন্দি। তবে এখনকার ভ্লগের মতো নয়, বরং অনেকটা ফিকশনের আদলে। ঢাকায় ফিরে সেই ফুটেজ সম্পাদনা করলেন এক মাস সময় নিয়ে। ফুটেজ দেখানো হলো চারুকলায়। প্রশংসা করলেন অনেকেই। সুমন বুঝতে পারলেন, নির্মাণই তাঁর গন্তব্য।
কিন্তু তাই বলে কি গান, ছবি আঁকা, কবিতা লেখা— সব থেমে গেল? খোলাসা করলেন সুমন নিজেই, অনুসন্ধান করার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। যা কিছু শেখা হবে সেসব মোটেও ফেলনা নয়। বরং কাজে লাগতে হয় সবখানে। তিনি মনে করেন, যে কাজ মানুষ কোনো প্রত্যাশা ছাড়া শুধু আনন্দের জন্য করে, জীবন সেই কাজ ধরে কিছু না খুঁজে দেয়।
কর্মশালার দ্বিতীয় অংশে সুমন তাঁর দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’ তৈরির সামগ্রিক প্রক্রিয়া তুলে ধরেন। প্রত্যাশা করেন, কিশোর আলোর পাঠকেরা একদিন দারুণ পরিচালক হবে। নির্মাণ করবে অন্যবদ্য কিছু।