‘পৃথিবীর পুস্তকসাধারণকে পাঠ্যপুস্তক এবং অপাঠ্যপুস্তক, প্রধানত এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। টেক্সট বুক কমিটি হইতে যে-সকল গ্রন্থ নির্বাচিত হয়, তাহাকে শেষোক্ত শ্রেণীতে গণ্য করিলে অন্যায় বিচার করা হয় না।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা।
মানে আমাদের স্কুলে যেসব বইকে ‘পাঠ্য’ বলে বোর্ড থেকে ছাপিয়ে পাঠানো হয়, সেগুলো অপাঠ্য। বাকি সব বই–ই পাঠ্য।
আমি অবশ্য ছোটবেলায় পাঠ্যবই পড়তেও খুব মজা পেতাম। যখন সিক্স-সেভেনে পড়ি, তখনই ক্লাস নাইন-টেনের বাংলা বই, ইংরেজি বই, দ্রুতপঠন বইয়ের গল্প-কবিতাগুলো পড়ে ফেলেছিলাম।
তোমরা কি জানো, বর্তমান পৃথিবীর অনেক সফল মানুষ, যাঁরা ভীষণ ধনবান এবং বিখ্যাত, তাঁদের সবার মধ্যেই একটা গুণ রয়েছে কমন, অভিন্ন, আর তা হলো বইপড়া। বিল গেটস, জাকারবার্গ, বারাক ওবামা, অপরাহ উইনফ্রে, জে কে রাউলিং—সবাই রোজ বইপড়ার পেছনে অনেকটা সময় ব্যয় করেন।
আমরা যদি সফল হতে চাই, আমাদের বই পড়তে হবে। পড়ার বই এবং পড়ার বইয়ের বাইরের বই।