ভালো আছো তো? থাকারই কথা। তোমার রোজ রোজ বাইরের সংকীর্ণ ছোট্ট পাশবিক পৃথিবীটার সম্মুখীন হতে হয় না। মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে, সবাই এমন জাজমেন্টাল কেন? তুমি জানো, আমার স্কেট বোর্ডটা এখন ঘরের এক কোণে পড়ে থাকে। আমার সাইকেলটা এখন চালায় অন্য কেউ। পাড়ার ক্রিকেট টিমে আমার জায়গায় হয়তো খেলে নতুন কেউ। আমি ঘরেই থাকি সারা দিন। সবাই বলে, মেয়েদের বাইরে যেতে নেই, খেলা যাবে না। কেন যাবে না? জানতে ইচ্ছে হয়। স্বাধীনভাবে কিছু করার জন্য লড়াই কেন করতে হবে? দূর আকাশে যে পাখিগুলো ওড়ে, তাদের বেলায়ও কি এই একই নিয়ম? ওদের ভেতরেও কি বৈষম্য আছে? জীবনের প্রায় সবটাই তো এখনো বাকি। এখনই এত নিষেধ-বারণ? তাহলে মানুষ নিজের মতো করে বাঁচবে কীভাবে?
এত প্রশ্নের জবাব তোমার কাছেও নেই বোধ হয়। হয়তো এই উত্তরগুলো জানা হবে না কোনো দিন। তবু বৈষম্যগুলো দেখলেই প্রশ্নগুলো আরও বেশি চিৎকার করে পৃথিবীর কাছে পৌঁছে দিতে ইচ্ছে করে। হয়তো বাকিদের মতো আমি মাথা নত করব না বৈষম্যের কাছে, করতে পারবই না। তুমি কিন্তু আমার পাশেই থেকো।